পিভি সিন্ধু 'অন্যায়' নিয়ে বিস্ফোরক! এশীয় ব্যাডমিন্টনে কোন ঘটনার জন্য ফাইনালে উঠতে পারলেন না?
পিভি সিন্ধু গতকাল এশীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে পরাস্ত হয়েছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তথা বিশ্বের ২ নম্বর জাপানি শাটলার আকানে ইয়ামাগুচির বিরুদ্ধে। প্রথম গেম জেতার পর তুল্যমূল্য লড়াই চালিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। ইয়ামাগুচি সিন্ধুর চেয়ে ক্রমতালিকায় এগিয়ে থাকলেও পারস্পরিক দ্বৈরথে কিন্তু ভারতের ১ নম্বর শাটলারই এগিয়ে। তবে সেমিফাইনালের পরই বিস্ফোরক অলিম্পিকে জোড়া পদকের মালকিন পিভি সিন্ধু।
সিন্ধুর স্বপ্নভঙ্গ
২০১৪ সালের পর এবারই প্রথম এশীয় ব্যাডমিন্টনের শেষ চারে পৌঁছেছিলেন সিন্ধু। স্বপ্ন ছিল সোনা জয়ের। কিন্তু সেই ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সিন্ধুকে। যদিও তাঁর দাবি, অন্যায়ের শিকার না হলে তিনি ফাইনালে উঠতে পারতেন। প্রথম গেম জেতার পর সিন্ধু দ্বিতীয় গেমেও ১৪-১১ ব্যবধানে একটা সময় এগিয়ে ছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে বিতর্কিত ঘটনা।
বিতর্কিত ঘটনা
পয়েন্ট পাওয়ার পর সার্ভ করতে দেরি করছেন, এই অভিযোগ আনা হয় সিন্ধুর বিরুদ্ধেয ইয়ামাগুচিকে এ জন্য এক পয়েন্ট দেওয়া হয়। শেষে দ্বিতীয় গেম ইয়ামাগুচি ২১-১৯ ব্যবধানে জিতে যান। নির্ণায়ক গেমে অবশ্য তিনি দাপট অব্যাহত রাখেন এবং জেতেন ২১-১৬ ব্যবধানে। ফলে সিন্ধুকে ছিটকে দিয়ে তিনি ফাইনালে চলে যান। পয়েন্ট কেটে প্রতিপক্ষকে দেওয়ার পরই ক্রমে ছন্দ হারাতে থাকেন সিন্ধু। ম্যাচের শেষে তিনি বলেন, আম্পায়ার আমাকে বলেন আমি নাকি সময় নিচ্ছি। কিন্তু বাস্তব হলো, প্রতিপক্ষ তৈরি না থাকাতেই আমি সার্ভ করতে পারিনি। হঠাৎই আম্পায়ার প্রতিপক্ষকে এক পয়েন্ট দিয়ে দিলেন! এটা একেবারেই ঠিক হয়নি, অন্যায় হয়েছে। আমার পরাজয়ের এটি অন্যতম কারণ। কেন না, সেই সময় ফল ছিল ১৪-১১। ১৫-১১ ব্যবধানে আমি এগিয়েও যেতে পারতাম। তা না হয়ে ফল ১৪-১২ হয়ে গেল। এরপর থেকে ইয়ামাগুচিও টানা পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে গেলেন। আবার বলছি এটা অন্যায় হয়েছে। এটা না হলে আমি ফাইনালেও পৌঁছে যেতে পারতাম।
কান্নায় ভেঙে পড়েন সিন্ধু
সিন্ধু আরও বলেন, আমি চিফ রেফারিকেও বিষয়টি জানাই। তিনি এসে বলেন ইতিমধ্যেই পয়েন্ট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এখানেই ক্ষুব্ধ সিন্ধু। তাঁর কথায়, চিফ রেফারির উচিৎ ছিল কোথায় ভুল হয়েছে সেটা ধরিয়ে দেওয়া। অন্তত রিপ্লে দেখে তিনি কোনও পদক্ষেপ তো করতেই পারতেন। কিন্তু তা না হওয়ায় এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সিন্ধু যে প্রচণ্ড হতাশ তা জানিয়েছেন তাঁর বাবা পিভি রমণাও। তাঁর কথায়, সোনা জয়ের বিষয়ে সিন্ধু এবার আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি হতাশ। আমার সঙ্গে কথা বলার সময় সিন্ধু কান্নায় ভেঙে পড়েন। আমি তাঁকে বলেছি, যা হয়েছে তা ভুলে যেতে।
অন্যায়ের শিকার!
সিন্ধু চিফ রেফারির সঙ্গে কথা বলেছিলেন চেয়ার আম্পায়ার শাটলটি প্রতিপক্ষের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর। কিন্তু চিফ রেফারিকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। রমণার কথায়, আম্পায়ার যেটা করেছেন সেটা ঠিক নয়। যদি সিন্ধু দেরি করছেন বলেই তাঁর মনে হয় তাহলে সতর্ক করতে পারতেন। হলুদ কার্ড দেখাতে পারতেন। আর যদি প্রতিপক্ষকে পয়েন্ট দিতেই হয়, তাহলেও লাল কার্ড দেখানো উচিৎ ছিল। সেটাও তিনি করেননি। সিন্ধু পদক প্রত্যাখ্যান করতে পারেন বলেও জল্পনা চলছিল। যদিও সে পথে তিনি হাঁটেননি।
|
পদক বিতরণী অনুষ্ঠান এড়ালেন
পদক নিয়ে নিজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সিন্ধু কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই পদক বিতরণের অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি বলে জানান রমণা। ৮ মে থেকে উবের কাপে সিন্ধু নামবেন। সে কারণে বিমান ধরতে চলে গিয়েছিলেন। না হলে দেশে ফিরতে দেরি হয়ে যেতো। তাতে উবের কাপের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারতো।
Shocked by the horrific discussion of the empire @Badminton_Asia where empire has give a fault to @Pvsindhu1 when her opponent is not ready. Sindhu was 1 game up & 14-11 up and was a song to win the Semifinals, with this discussion Yamaguchi's won!! 😡😡@bwfmedia pic.twitter.com/txkdksKeC5
— Pradeep Raju (@kpradeepraju) April 30, 2022
This is one of the worst decisions I’ve ever seen! 🤦♂️ https://t.co/795WFYhzOi
— Ben Lane (@BenLane012) April 30, 2022