সিন্ধু গর্জন এশীয় ব্যাডমিন্টনে! শেষ চারে পৌঁছে ৮ বছর পর নিশ্চিত করলেন পদক
পিভি সিন্ধু পৌঁছে গেলেন ব্যাডমিন্টন এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম এশীয় ব্যাডমিন্টনের শেষ চারে উঠলেন অলিম্পিকে জোড়া পদকজয়ী ভারতের ১ নম্বর শাটলার। গত অগাস্টে টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচের পর থেকে এই নিয়ে টানা তিনবার ২৫ বছর বয়সি চিনের শাটলার হে বিংজিয়াওকে হারালেন সিন্ধু। ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের লড়াই তিনি জিতলেন বিংজিয়াওয়ের কড়া চ্যালেঞ্জ সামলেই।
ফিলিপিন্সের ম্যানিলায় এই প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালের ফল সিন্ধুর পক্ষে ২১-৯, ১৩-২১, ২১-১৯। বিংজিয়াওকে হারিয়েই সিন্ধু টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। সেই খেলার ফল ছিল ২১-১৩, ২১-১৫। বিশ্ব ক্রমতালিকায় সিন্ধু রয়েছেন সাতে, নয়ে বিংজিয়াও। সেমিফাইনালে ওঠায় ইতিমধ্যেই সিন্ধু নিশ্চিত করে ফেলেছেন ব্রোঞ্জ পদক। পদকের রং বদলানোর লক্ষ্যে তিনি নামবেন সেমিফাইনালে। প্রথম গেম দাপটের সঙ্গেই জিতেছিলেন সিন্ধু। একটা সময় ১১-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। শেষ অবধি প্রথম গেম মাত্র ১৩ মিনিটেই নিজের দখলে নিয়ে নেন সিন্ধু। যদিও দ্বিতীয় গেমে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান বিংজিয়াও। সিন্ধুর কিছু আনফোর্সড এররের ফায়দা তুলে দ্বিতীয় গেমটি জিতে নেন তিনি।
তৃতীয় গেমের শুরুতে সিন্ধু দাপট দেখালেও পরে কামব্যাক করেন বিংজিয়াও। একটা সময় তিনি ৬-১১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন। দুই খেলোয়াড়ের সংশয় মেটাতে আসরে নামতে হয় চেয়ার আম্পায়ারকেও। বিংজিয়াও দুটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে মরিয়া লড়াই চালান। যদিও প্রতিপক্ষের আনফোর্সড এরর সুবিধা করে দেয় সিন্ধুর। এই নিয়ে বিংজিয়াওকে ৮ বার হারালেন সিন্ধু।
যদিও পারস্পরিক দ্বৈরথে বিংজিয়াও এগিয়ে ৯-৮ ব্যবধানে। ২০১৭ সালে ইউহানে এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বিংজিয়াওয়ের কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন সিন্ধু। এবার তার মধুর প্রতিশোধ নিলেন। ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গিমচেওনে এশীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে সিন্ধু ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। তারপর ফের এবার নিশ্চিত করলেন পদক।