চোখের জলে কোর্ট ভিজিয়েছিলেন সিন্ধু! সেদিনের সেই ‘সংকল্পে’ই আজ মধুর প্রতিশোধ
অলিম্পিকেও হাতছাড়া হয়েছে স্বর্ণপদক। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও হার। তাই চোখের জল বাধ মানেনি। সেই চোখের জলেই গড়ে ওঠা সংকল্পেই মধুর প্রতিশোধ সিন্ধুর।
বিশ্ব ব্যাডমিন্টনশিপে হেরে বাধ মানেনি তাঁর চোখের জল। সেই চোখের জলকে পাথেয় করেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নিলেন সিন্ধু। কোরীয় সুপার সিরিজে জাপানি ওকুহারাকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলেন হায়দরাবাদী তরুণী। সেদিন কঠিন লড়াই করেও তাঁকে হার মানতে হয়েছিল। এবার আরও এক কঠিন লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নিলেন তিনি।
সিন্ধুর বাবাও সেদিন মেয়ের চোখের জল দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি। আধো ভেজা গলায় বলেছিলেন, অলিম্পিকে হেরেও মেয়েকে এমন কাঁদতে দেখিনি। কিন্তু বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে হেরে অসম্ভব কেঁদেছিল সিন্ধু। একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছিল স্বর্ণপদক। আগে দু-বার ব্রোঞ্জ পদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে। তারপর অলিম্পিকেও হাতছাড়া হয়েছে স্বর্ণপদক। তাই বাধ মানেনি চোখের জল।
এবার বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে পদকের রং সোনালিতে বদলানোর মহার্ঘ সুযোগ পেয়েছিলেন সিন্ধু। কিন্তু তা হাতছাড়া হওয়ায় নিজেকে সামলাতে পারেননি। কেঁদে হালকা হয়েছিলেন। সেই কান্না থেকেই সংকল্প নিয়েছিলেন, পরের যুদ্ধে তিনি জিতবেনই। সেদিনের সংকল্প মিথ্যে হয়নি। পরের সাক্ষাতেই তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিলেন।
এদিন ভারতীয় তারকার পক্ষে ম্যাচের ফল ২২-২০, ১১-২১, ২১-১৮। এই ফলই বলে দিচ্ছে কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল ম্যাচ। জাপানি প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁকে বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়েননি। প্রথম সেটে প্রবল প্রতিদ্বন্দিতার পর জয় তুলে নিলেও দ্বিতীয় সেটে সিন্ধুকে দাঁড় করিয়ে সমতায় ফিরে আসেন ওকুহারা। তবে তৃতীয় সেটে সিন্ধু ফের ফিরে আসেন খেলায়। এবং ছিনিয়ে নেন বহু প্রতীক্ষিত জয়।
এক বছর আগে রিও অলিম্পিকে ক্যারোলিনা মারিনের কাছে হেরে সোনা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল সিন্ধুর। তার পর ফের সুযোগ আসে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। কিন্তু আবারও চূড়ান্ত ম্যাচের ব্যর্থতা তাঁর স্বপ্ন ভঙ্গ করে দেয়। বছরের শেষ টুর্নামেন্টেই তাঁর কাছে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ চলে আসে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি মনের জ্বালা কিছুটা হলেও জুড়ালেন। সেইসঙ্গে ওয়ার্ল্ড সুপার সিরিজেও যোগদান নিশ্চিত করে নিলেন সিন্ধু।