করোনায় পিছিয়ে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকের খরচ কোথায় পৌঁছেছে জানেন?
করোনা ভাইরাসের কারণে পিছিয়ে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকের খরচ বাইশ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সালে ইভেন্টের জন্য ১২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধরা হয়েছিল। তা বেড়ে বর্তমানে ১৫.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পরিণত হয়েছে বলে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে। সবমিলিয়ে খরচের নিরিখে টোকিও অলিম্পিক যে ইভেন্টের সর্বকালের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যদিও জাপান সরকারের তরফে দেওয়া খরচের হিসেবের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যায় মিল না থাকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। করোনা ভাইরাসের জেরে ইভেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় খরচ বেড়ে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে বলে দাবি করছে শিনজো অ্যাবে প্রশাসন। যদিও তা মেনে নিতে রাজি হয়নি ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আইওসি।

অন্যদিকে অতিমারী পরিস্থিতিতে ২০২১ সালেও টোকিও-তে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আসর বসানো সম্ভব কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও জাপানে অলিম্পিক আয়োজন না করার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না টোকিও-র গভর্নর ইউরিকো কোইকে। ইভেন্ট বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি এখন আর নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
চলতি বছরের ২৪ জুলাই থেকে টোকিও-তে শুরু হওয়ার কথা ছিল অলিম্পিক। করোনা ভাইরাসের জেরে ইভেন্ট স্থগিত করে দেয় ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি বা আইওসি। জানিয়ে দেয়, ২০২১ সালের ২৩ জুলাই থেকে শুরু হবে ইভেন্ট। ৮ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে প্রতিযোগিতা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাব না কমায় সেই ইভেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রেও প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার না হলে এবারের মতো অলিম্পিক বাতিল করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা।
জাপানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এমতাবস্থায় ৪০ শতাংশ মানুষ ইভেন্ট আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন। ২৩ শতাংশ চান তা বন্ধ হোক।

জাহাজ ডুবছে, কেন দেশে ফিরছেন বিরাট? দেশের দায়িত্বকে বেশি গুরুত্ব দিতাম, বললেন প্রাক্তনী