সচিনের বাড়িতে চানু, টোকিও অলিম্পিকে পদকজয়ীদের নিজেদের রাজ্যে রাজকীয় বরণ
টোকিওয় অলিম্পিকের ইতিহাসে সেরা সাফল্য পেয়েছে ভারত। একটি সোনা-সহ জিতেছে সাতটি পদক। পদকতালিকায় ভারত শেষ করেছে ৪৮তম স্থানে থেকে। অলিম্পিকে পদকজয়ীদের ঘিরে গোটা দেশজুড়ে চলছে উন্মাদনা। হরিয়ানা, পাঞ্জাব থেকে হরিদ্বার, বারাণসী- ভারতীয় পুরুষ ও হকি দলকেও রাজকীয়ভাবে বরণ করে নেওয়া হল।
সচিনের বাড়িতে চানু
কর্ণম মালেশ্বরী ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে ভারোত্তোলনে পেয়েছিলেন ব্রোঞ্জ। অলিম্পিকের ইতিহাসে দ্বিতীয় ভারতীয় ভারোত্তোলক হিসেবে এবার পদক জিতে ফিরেছেন মীরাবাঈ চানু, মহিলাদের ৪৯ কেজি বিভাগে। অলিম্পিক ভারোত্তোলনে দেশের প্রথম রুপো। আজ সকালে সচিন তেন্ডুলকর নিজের বাসভবনে দেখা করলেন চানুর সঙ্গে। এরপর চানু টুইটে লেখেন, সচিন তেন্ডুলকরের যে প্রজ্ঞা, যে অভিজ্ঞতা রয়েছে, যেভাবে তিনি আজ উৎসাহ দিলেন তাতে সত্যিই অনুপ্রাণিত বোধ করেছি। তাঁর প্রেরণা সঙ্গে নিয়েই আগামী দিনে এগোতে চাই।
|
খুশি সচিন
চানুর টুইটের প্রেক্ষিতে মাস্টার ব্লাস্টার লেখেন, আপনার সঙ্গে সকালে দেখা করতে পেরে আমিও একইরকম খুশি। মণিপুর থেকে টোকিও পৌঁছানোর যে সফর আপনার তা খুবই প্রেরণাদায়ক। আপনার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে পেরে আমারও ভালো লেগেছে। সামনে আরও অনেক সফর আপনার অপেক্ষায় রয়েছে, কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যান।
ভারতীয় হকি দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
ভারতের পুরুষ ও মহিলা হকি দলের খেলোয়াড়রাও নিজেদের রাজ্যে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানার। ভারতীয় পুরুষ হকি দলের খেলোয়াড়দের পাশাপাশি মহিলা হকির দলের খেলোয়াড় গুরজিৎ কৌর এদিন অমৃতসরে গিয়ে হরমন্দির সাহিব বা স্বর্ণমন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা সারেন। তার আগে অমৃতসরের শ্রী গুরু রাম দাসজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেলা প্রশাসনের তরফে হকি খেলোয়াড়দের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিমানবন্দর ও রাস্তার দুই ধারে অনেকেই ঢোল নিয়ে ভাঙরার তালে উৎসবের মেজাজে ছিলেন। শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির বাসে চেপে স্বর্ণমন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় অলিম্পিয়ান হকি খেলোয়াড়দের। কমিটির তরফে খেলোয়াড়দের শিরোপা দেওয়া হয় এবং অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় পুরুষ হকি দলকে ১ কোটি টাকার চেক দেওয়া হয়। এখানে ছিলেন অধিনায়ক মনপ্রীত সিং, দিলপ্রীত সিং, হরমনপ্রীত সিং, রুপিন্দরপাল সিং, হার্দিক সিং, গুরজন্ত সিং, বরুণ কুমার, মনদীপ সিং, শামশের সিং, সিমরনজিৎ সিং। মহিলা হকি খেলোয়াড় গুরজিৎ কৌর ও তাঁর পরিবারকেও বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। মনপ্রীত বলেন, পদক জেতার পর আমরা সকলেই ঠিক করেছিলাম দেশে ফিরে এই মন্দিরে আমরা সকলে মিলে আসব। এখানে আজ যেভাবে উৎসাহিত করা হল তা ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলার জন্য আমাদের প্রেরণা দেবে।
ললিতদের ঘিরে উচ্ছাস
বারাণসীতে ফিরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান ভারতীয় হকি দলের খেলোয়াড় ললিত উপাধ্যায়। মনপ্রীত, মনদীপ, বরুণ কুমাররা জলন্ধরে পৌঁছানোর পর তাঁদের ফুল দিয়ে সাজানো খোলা জিপে করে বিএসএফ চৌকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করা হয়।
বন্দনাকে বন্দনা
ভারতীয় মহিলা হকি দলও পদক না জিতলেও সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছে। অল্পের জন্য ব্রোঞ্জ হাতছাড়া হয়েছে। হরিদ্বারে পৌঁছাতেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পান এই দলের অন্যতম সদস্য বন্দনা কাটারিয়া। যাঁর পারফরম্যান্স প্রশংসিত হয়েছে। অধিনায়ক রানি রামপাল, নভজ্যোৎ কৌর, নবনীত কৌরদেরও হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রর কাছে শাহবাদে বরণ করে নিতে উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ। জলন্ধরের মিঠাপুরকে হকির আঁতুড়ঘর বলে মনে করা হয়। রানিরা ফেরার পর শুরু হয় মিষ্টি বিতরণ। দুই রাজ্যের সরকারই অলিম্পিয়ানদের জন্য রাজকীয় সংবর্ধনার উদ্যোগ নিয়েছে।
সংবর্ধনা দিলেন হেমন্ত
রাঁচিতে ফেরার পর নিক্কি প্রধান ও সালিমা টেটেকে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর তাঁদের সংবর্ধনা প্রদান করেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
কেজরির কাছে রবি
গতকাল দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন অলিম্পিক কুস্তিতে রুপোজয়ী রবি কুমার দাহিয়া। তাঁর বাড়ির এলাকাতেও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বাড়িতে বজরং
সোনিপতের বাড়িতে গতকালই রাতে ফিরেছেন ব্রোঞ্জজয়ী বজরং পুনিয়া। স্ত্রী সঙ্গীতা ফোগাট স্বামীর সাফল্যে গর্বিত। বাড়ি ফিরে মায়ের হাতের রান্না খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছেন বজরং।