রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে অলিম্পিকের টর্চ রিল দেখতেও মানতে হবে কড়া বিধি
রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে অলিম্পিকের টর্চ রিল দেখতেও মানতে হবে কড়া বিধি
করোনা ভাইরাস নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিয়ে চায় না ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও জাপান প্রশাসন। সাফ জানিয়েছে, যে সকল ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে টোকিও গেমসের টর্চ রিলে দেখবেন, তাঁদের ফেস মাস্ক পরতই হবে। প্রত্যেক দর্শককে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
১২১ দিনের এই টর্চ রিলে আগামী ২৫ মার্চ থেকে শুরু হবে। ২৩ জুলাই তা ফুকোসিমায় শেষ হবে। কোভিড ১৯-এর প্রভাব থেকে বাঁচতে কোনও দর্শক ছাড়াই সেখানে টোকিও অলিম্পিকের টর্চ রিলের মূল অনুষ্ঠান হবে। সেই সঙ্গে সুরক্ষার স্বার্থে প্যারালিম্পিক্সও দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হবে বলেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে টোকিও অলিম্পিকের টর্চ রিলে প্রত্যক্ষ করা যাবে। সেক্ষেত্রে উপযুক্ত সুরক্ষা বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের আবহে জাপানে সুস্থ এবং সুরক্ষিতভাবে অলিম্পিক ২০২১ আয়োজনের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বা আইওসি-র তরফে জানানো হয়েছে যে বিদেশি দর্শকদের ছাড়াই টোকিও-তে ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। অতিমারীর প্রভাব থেকে তাদের এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।
জাপানের টোকিও-তে ২০২০ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল অলিম্পিক। করোনা ভাইরাসের জেরে ইভেন্ট এক বছরের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। ঠিক হয় যে ২০২১ সালের ২৩ জুলাই থেকে শুরু দ্য গ্রেটেস্ট শো অফ দ্য আর্থ। ৮ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে ইভেন্ট। সেই মতো প্রস্তুতি প্রায় শেষ মুহুর্তে বলা চলে।
ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের আবহে জাপানে অলিম্পিক বন্ধ করে দেওয়ার জন্য রব উঠেছে কিছু মহল থেকে। জাপানের নাগরিকরাই তাতে সামিল রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তাতে আমল দিতে রাজি নয় জাপান সরকার, আইওসি ও ইভেন্টের আয়োজক কমিটি। উল্টে জোর কদমে কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে।
জাপানে এখনও পর্যন্ত সাড়ে চার লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন আট হাজারেরও বেশি মানুষ। অতিমারীকে হারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ।
তৃণমূলের দুয়ার কি ফের শোভনের জন্য খুলে দেবেন মমতা? নাকি কড়া নাড়বেন অন্য কোথাও