টোকিও অলিম্পিক টেবিল টেনিসে ভারতীয় দলে অশান্তি, সৌম্যদীপের সঙ্গে সংঘাতে মনিকা
টোকিও অলিম্পিকের টেবিল টেনিসে ভারতের জয়ের আনন্দে কাঁটা। কোচ সৌম্যদীপ রায়ের সঙ্গে সংঘাতে দেশের এক নম্বর প্যাডলার মনিকা বাত্রা। মনিকার ম্যাচ চলাকালীন কোচের চেয়ার ফাঁকা থাকাতেই অশান্তির ইঙ্গিত মেলে। পরে জানা যায়, ব্যক্তিগত কোচকে খেলার সময় থাকার অনুমতি না দেওয়ায় জাতীয় দলের কোচ সৌম্যদীপের কোনও সাহায্য তাঁর লাগবে না বলে জানিয়ে দেন মনিকা।
মনিকার জয়
বিশ্বের ৬২ নম্বর মনিকা এদিন হারালেন বিশ্বের ৯৪তম স্থানে থাকা টিন-টিন হো-কে। তিনি প্রথম চারটি গেমই জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছান দাপট দেখিয়েই। কিন্তু সকলেরই নজরে আসে মনিকার খেলার সময় কোচের চেয়ার ফাঁকা থাকার বিষয়টি। জানা গিয়েছে, অনেক বিতর্কের পর মনিকার কোচ সন্ময় পরাঞ্জপেকে তাঁর সঙ্গে টোকিও যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি গেমস ভিলেজে থাকতে পারেননি, রয়েছেন হোটেলে। মনিকার অনুশীলনের সময় তাঁর কোচ থাকতে পারলেও অলিম্পিকের ম্যাচের সময় তাঁকে উপস্থিত থাকার অনুমতিও দেওয়া হয়নি।
কোচ নিয়ে ক্ষোভ
মনিকা চেয়েছিলেন তাঁর কোচের অ্যাক্রিডিটেশনের ব্যবস্থা এমন করা হোক যাতে তিনি ম্যাচের সময় কোর্টের পাশে থাকতে পারেন এবং তাতে প্রয়োজনে তাঁর থেকে মনিকা মূল্যবান পরামর্শ নিতে পারেন। কিন্তু টিটিএফআইয়ের পরামর্শদাতা তথা টোকিওয় ভারতীয় দলের টিম লিডার এম পি সিং জানিয়েছেন, তাঁক কোচকে ফিল্ড-অব-প্লে অ্যাকসেস দিতে রাজি হননি আয়োজকরাই। আর তাতেই নিজের ম্যাচের সময় জাতীয় কোচের পরামর্শ তাঁর লাগবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ মনিকা। এম পি সিং নিজে মনিকাকে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু সৌম্যদীপের পরামর্শ নিতে অস্বীকার করেন দেশের ১ নম্বর টিটি তারকা। যদিও সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ের ম্যাচের সময় তাঁর কোচ তথা জাতীয় দলের কোচ সৌম্যদীপ রায় আগাগোড়া উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর পরামর্শ নিয়েই দুরন্ত কামব্যাক করেন সুতীর্থা।
সৌম্যদীপকে মানতে নারাজ মনিকা
এদিন মিক্সড ডাবলসের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যান অচন্ত শরথ কমল ও মনিকা বাত্রা। সেই সময় কোর্টের পাশে ছিলেন ২০০৬ সালে কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী দলের সদস্য সৌম্যদীপ। শরথ কমলের সঙ্গেও দীর্ঘদিন খেলেছেন এই বঙ্গসন্তান। কিন্তু মনিকার ম্যাচের সময় তাঁকে না দেখতে পেয়েই বোঝা গিয়েছিল, নিশ্চয়ই কোনও সমস্যা রয়েছে। ভারতীয় দলের তরফেই তা স্পষ্ট করা হয়েছে। মনিকার কোচ পরাঞ্জপেকে টোকিও যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও জি সাথিয়ানের কোচ তথা অলিম্পিয়ান এস রামনকে ভারত থেকে পাঠানো হয়নি। করোনা পরিস্থিতিতে সাপোর্ট স্টাফ কমানোর জেরেই এই বিতর্ক। কাল মনিকা ও সুতীর্থার ম্যাচ রয়েছে। তখনই স্পষ্ট হবে বরফ গলার কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা। তবে দেশের হয়ে অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে কোচের সঙ্গে সংঘাত প্রথম সারির খেলোয়াড়ের কাছ থেকে প্রত্যাশিত কিনা তা নিয়েও তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে।