লাভলিনার পাঞ্চেই কাজ, কোচ সন্ধ্যা পেলেন কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজে প্রবেশের ছাড়পত্র
টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার লাভলিনা বরগোঁহাই সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে তোপ দেগেছিলেন তাতেই কাজ হলো। লাভলিনার ব্যক্তিগত কোচ সন্ধ্যা গুরুং অবশেষে পেলেন গেমস ভিলেজে প্রবেশের ছাড়পত্র। বার্মিংহ্যাম গেমসের আগে লাভলিনার মানসিক নির্যাতন ও হেনস্থার তির ছিল বক্সিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার দিকেই। যদিও বিএফআই দায় ঠেলেছিল ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার দিকে।
— Lovlina Borgohain (@LovlinaBorgohai) July 25, 2022 |
সরব লাভলিনা
লাভলিনা গতকাল টুইটে লেখেন, বারবারই তিনি মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের সময় কোচেদের পাশে পাচ্ছেন না অনেক অনুনয়-বিনয় সত্ত্বেও। এ জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও ভালো ফল করতে পারেননি। কমনওয়েলথ গেমসেও ভিলেজে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি তাঁর কোচ তথা দ্রোণাচার্য পুরস্কার পাওয়া সন্ধ্যা গুরুংকে। অপর এক কোচকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কোচেরা অলিম্পিক পদক জিততে তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন বার্মিংহ্যামে তাঁদের পাশে না পাওয়ায় প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটার কথা উল্লেখ করেছিলেন লাভলিনা। এভাবে মানসিক নির্যাতন ও হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ছিল তাঁর।
বিএফআইয়ের বক্তব্য
বক্সিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, লাভলিনার জন্যই শুধু ব্যক্তিগত কোচ পাঠাতে চেয়েছিল বিএফআই। সাইয়ের অনুমোদন মেলে। কিন্তু সাপোর্ট স্টাফ, ফিজিও, ম্যাসিওরদের সংখ্যার কথা হিসেব করে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সন্ধ্যা গুরুংকে রাখার বিষয়টিতে অনুমোদন দেয়নি। সে কারণে তিনি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাননি। এটি না থাকলে গেমস ভিলেজে প্রবেশও করা যায় না। এই অবস্থায় লাভলিনার টুইট কতটা শোরগোল ফেলে দেয় ভারতের ক্রীড়া মহলে তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্ধ্যার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়ার মধ্যেই স্পষ্ট।
আইওসিতে আটকে ছিল
বিএফআই গতকাল আরও জানায়, ক্রীড়াবিদদের সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যক সাপোর্ট স্টাফ রাখা নিয়ম। আটজন পুরুষ ও চার মহিলা বক্সার থাকায় বক্সিং দলে সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যা হয় চারজন। কিন্তু আইওসির সহযোগিতায় তা বাড়িয়ে ৮ করা হয়েছে। এর মধ্যেই সন্ধ্যার নামও সাইয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল আইওসির কাছে। এ ছাড়া যে কোচেরা সবাইকে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন গ্রুপ ইভেন্টের কথা ভেবে তাঁরাই আগে অ্যাক্রিডিটেশন পেয়েছেন।
সন্ধ্যা পেলেন ছাড়পত্র
আইওএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সন্ধ্যা গুরুংকে আজ সকালেই গেমস ভিলেজে নিয়ে এসে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি বক্সিং দলের সঙ্গেই রয়েছেন। গেমস ভিলেজে গুরুংকে একটি ঘরও দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, টোকিও অলিম্পিকের আগে মানসিকভাবে সন্ধ্যা গুরুং কীভাবে তাঁকে শক্তিশালী করে তুলেছিলেন সে কথা বারেবারেই বলে থাকেন লাভলিনা। মায়ের অসুস্থতা সত্ত্বেও লাভলিনা নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে কঠোর পরিশ্রমের সুফল পেয়েছিলেন অলিম্পিকে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যর্থতা কমনওয়েলথ গেমসের সাফল্যে মুছে ফেলতে চান অসমের বক্সার। কোচ সন্ধ্যাকে পেয়ে লাভলিনা এবার অনুশীলনে মনোনিবেশ করে দেশকে পদক এনে দিতে পারবেন, এমনটা প্রত্যাশা ক্রীড়াপ্রেমীদের।