হিজাব পরার ফতোয়া অগ্রাহ্য করে বিতর্কে ইরানের অ্যাথলিট, দেশে ফিরে শাস্তির মুখে পড়ার আশঙ্কা
ইরানের নামি অ্যাথলিট এলনাজ রেকাবি। এই রক ক্লাইম্বার অংশ নিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। হিজাব পরার নিয়ম অগ্রাহ্য করে তিনিই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। অন্যান্য অ্যাথলিটদের সঙ্গে তিনি দেশে রওনা দিয়েছেন সিওল থেকে। যদিও তেহরানে ফিরে তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
ইরানের শাসকদের ফতোয়াকে না মেনে হিজাব ছাড়াই বছর তেত্রিশের রেকাবি গত রবিবার অংশ নেন এশিয়ান স্পোর্ট ক্লাইম্বিং চ্যাম্পিয়নশিপে। তাঁকে হেডস্কার্ফ ছাড়া অবস্থায় দেখে অনেকেই অবাক হন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রটে যায়, রেকাবি নিখোঁজ! ইউকে-র টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেকাবির বন্ধুরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না রবিবারের পর থেকে। বিবিসি বিশ্বস্ত সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করে, রেকাবির পাসপোর্ট ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও রেকাবিকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তি নেই বলে টুইটে দাবি করেছে সিওলে ইরানের দূতাবাস। জানানো হয়েছে, আজই সতীর্থদের সঙ্গে সিওল থেকে ইরানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন রেকাবি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা খবর প্রকাশ হচ্ছে বলে দাবি করে ইরানের দূতাবাস রেকাবি সংক্রান্ত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সমস্ত তথ্য খারিজ করে দিয়েছে।
Ms. Elnaz REKABI, departed from Seoul to Iran, early morning of October 18, 2022, along with the other members of the Team.
— Iran embassy in Seoul (@IraninSKorea) October 18, 2022
The Embassy of the Islamic Republic of Iran in South Korea strongly denies all the fake, false news and disinformation regarding Ms. Elnaz REKABI. pic.twitter.com/053pFWs96m
সিওলে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাটিতে ইরানের রক ক্লাইম্বার রেকাবি চতুর্থ হন। তবে তিনি হিজাব না পরে ইরানের শাসকের ফতোয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে বিভিন্ন মহলের ধারণা। যদিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় রেকাবি দাবি করেছেন, হিজাব না পরা নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে তা অনিচ্ছাকৃত। তিনি ইরানের নাগরিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন। ইরানে পুলিশ হেফাজতে বছর বাইশের মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদীদের উপর যথেচ্ছ অত্যাচার হচ্ছে, যার নিন্দা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। আমিনি হিজাব না পরায় 'মরালিটি পুলিশ' তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।