টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়া মহিলা ও পুরুষ অ্যাথলিট মাথা হেঁট করলেন ভারতের
ফের ধাক্কা ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সে। ডোপিংয়ের জালে জড়িয়ে পড়লেন দেশের দুই সেরা অ্যাথলিট। একজন পুরুষ ও একজন মহিলা অ্যাথলিট গত বছর টোকিও অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্বও করেছেন। বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা চালালেও তাতে সফল হয়নি অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। যদিও অ্যাথলিটদের নাম এখনও জনসমক্ষে আসেনি।
একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের জনৈক অ্যাথলেটিক্স কোচ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে দেশের দুই অ্যাথলিটের ডোপ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা আর জাতীয় শিবিরের অংশ নন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যে মহিলা অ্যাথলিট ডোপিংয়ের জালে জড়িয়েছেন তিনি আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমসে সম্ভাব্য পদকজয়ীদের তালিকায় ছিলেন। চলতি বছর যে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হবে তাতেও ওই মহিলা অ্যাথলিট যোগ্যতা অর্জন করবেন বলে মনে করা হচ্ছিল। তাঁর দক্ষতার প্রতি আস্থা রেখে টোকিও অলিম্পিকের পর ওই অ্যাথলিটের জন্য একজন বিদেশি কোচের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয় এএফআই।
যে পুরুষ অ্যাথলিট ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁর নমুনা নেওয়া যখন নেওয়া হয় তখন কোনও প্রতিযোগিতায় তিনি অংশ নিচ্ছিলেন না। তাঁরও আন্তর্জাতিক পদক রয়েছে, যদিও সাম্প্রতিককালে তিনি চেনা ছন্দে ছিলেন না। নিষিদ্ধ অ্যানাবলিক স্টেরয়েড নিয়েছেন এই অ্যাথলিটরা। এ জন্য তাঁরা নির্বাসনের মুখে পড়তে চলেছেন, যার মেয়াদ হতে পারে চার বছর। দুই অ্যাথলিটই কেন্দ্রের টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিমের অধীনে থাকায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতাও পাচ্ছিলেন।
২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত ডোপিংয়ে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ঘরোয়া প্রতিযোগিতাতেও ডোপিংয়ের জালে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকেই। সম্প্রতি অনূর্ধ্ব ২৩ বিভাগে মহিলাদের ১০০ মিটারে পদকজয়ী এক অ্যাথলিট, যাঁকে ভবিষ্যতের তারকা বলেও মনে করা হচ্ছিল তিনি এবং ওপেন ন্যাশনালসে পোডিয়াম ফিনিশার এক পুরুষ অ্যাথলিট ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে তিন বছর নির্বাসিত হয়েছেন। ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের শুনানিতে তাঁরা নিজেদের দোষ স্বীকারও করেছিলেন।