Tokyo Olympics : লাভলিনা ছাড়া বাকি বক্সারদের ব্যর্থতা নিয়ে কী বললেন ফেডারেশন সভাপতি?
Tokyo Olympics : লাভলিনা ছাড়া বাকি বক্সারদের ব্যর্থতা নিয়ে কী বললেন ফেডারেশন সভাপতি?
কিংবদন্তি মেরি কমের পর দেশের দ্বিতীয় মহিলা বক্সার হিসেবে অলিম্পিকের সেমিফাইনালে পৌঁছে দেশের হয়ে পদক নিশ্চিত করেছেন লাভলিনা বড়গোহাঁই। ভারতের বাকি যে বক্সারদের থেকে টোকিও গেমসে পদক আশা করা হয়েছিল, তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। মেরি কম, অমিত পানঘাল, পূজা রানিদের কাছে থেকে যা আশা করা হয়নি, তাই হয়েছে। তাতে কিছুটা হলেও হতাশ দেশের ক্রীড়াপ্রেমী। হতাশ হয়েছেন দেশের বক্সিং ফেডারেশনের সভাপতি অজয় সিং। যিনি এই হারের বাখ্যা দিয়েছেন।
ভারতের পদক নিশ্চিত
টোকিও অলিম্পিকের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে দেশে ক্রীড়াপ্রেমীদের ধাক্কা দিয়েছিলেন মেরি কম। কিংবদন্তির শূন্যতা কিছুটা হলেও পূরণ করলেন লাভলিনা বড়গোহাঁই। ৬৯ কেজি বিভাগে দাপুটে জয় পেয়েছেন অসমের বক্সার। চাইনিজ তাইপের চেন নিয়েন-চিনকে ৪-১ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়েছেন লাভলিনা। তিন রাউন্ডেই দাপট অব্যাহত রেখে তিনি সেমিফাইনালে পৌঁছেছেন। ভারতের জন্য অন্তত একটা ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করেছেন বড়গোহাঁই। ফাইনালে উঠতে পারলে অন্তত রূপো নিশ্চিত করবেন অসমের বক্সার।
৯ বছর পর অলিম্পিকের বক্সিংয়ে পদক
২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকের বক্সিং ইভেন্ট থেকে ভারতকে পদক এনে দিয়েছিলেন বিজেন্দ্র সিং। সেমিফাইনালে হেরে গেলেও তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচ তিনি ব্রোঞ্জ ঘরে তুলেছিলেন। চার বছর পর লন্ডনে অনুষ্ঠিত হওয়া অলিম্পিকের বক্সিং ইভেন্টে ফের একটি সফলতা পেয়েছিল ভারত। ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন কিংবদন্তি মেরি কম। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকের একই ইভেন্ট থেকে ভারত কোনও পদক জিততে পারেনি। ফলে ৯ বছর পর টোকিও অলিম্পিকের বক্সিং ইভেন্টে ভারতের জন্য পদক নিশ্চিত করে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন লাভলিনা বড়গোহাঁই।
দেশের বাকি বক্সারদের ব্যর্থতা
টোকিও অলিম্পিক শুরু হওয়ার আগে দুবাইয়ে হওয়া এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন ভারতীয় বক্সাররা। ওই টুর্নামেন্টে ২টি সোনা সহ মোট ১৫টি পদক জিতেছিলেন ভারত। লাভলিনা বড়গোহাঁই ব্যতিরেকে টোকিও গেমসে বাকি ভারতীয় বক্সারদের ব্যর্থতা কিছুটা হলেও দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের হতাশ করেছে। চলতি অলিম্পিকে ভারত থেকে মোট পাঁচ জন পুরুষ ও চার জন মহিলা বক্সার অংশ নিয়েছিলেন। ফ্লাইওয়েট বিভাগে মেরি কম, অমিত পানঘাল, সুপার হেভিওয়েট ক্যাটেগরিতে সতীশ কুমার এবং মিডলওয়েটে পূজা রানির হার দেশের কাছে বড় ধাক্কা। ৬৩ কেজি বিভাগে মনীশ কৌশিক, ৭৫ কেজি বিভাগে আশিষ চৌধুরী ও ৬০ কেজি বিভাগে সিমরনজিৎ কৌরের হারও হতাশ হয়েছেন ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীরা।
কী বললেন ফেডারেশন সভাপতি
ভারতীয় বক্সারদের কাছ থেকে টোকিও অলিম্পিকে যে ফলাফল আশা করা হয়েছিল, তা হয়নি বলে কোনও রাখঢাক না করেই বলেই ফেডারেশন সভাপতি অজয় সিং। বিশেষ করে চোট নিয়েই সাহস করে টোকিও যাওয়া অমিত পানঘাল ও বিকাশ কিষাণের হার তাঁকে ধাক্কা দিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। বক্তব্য, খুব কম পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছেন কিংবদন্তি মেরি কম। দেশের বাকি বক্সাররাও চেষ্টার ত্রুটি করেননি বলেও জানিয়েছেন ফেডারেশন সভাপতি। সর্বোপরি ৯ বছর পর অলিম্পিকের বক্সিং থেকে পদক আনা যে কম সাফল্যের নয়, তাও জানাতে ভোলেননি অজয় সিং।
বক্সারদর পাশে অজয়
লাভলিনা বড়গোহাঁই ছাড়া টোকিও অলিম্পিকে বাকিদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য দেশের বক্সার এবং কোচিং স্টাফদের দুষতে রাজি নন অজয় সিং। বক্তব্য, এই বক্সাররাই গত পাঁচ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থেকে দেশকে বহু পদক এনে দিয়েছেন। টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় বক্সারদের পারফরম্যান্সে করোনা ভাইরাস নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলেও মনে করেন অজয় সিং। তাঁর দাবি, ২০২০ সালে মেরি কমদের ফোকাস অন্যরকম ছিল। সেই সময়ই অলিম্পিক হলে বক্সিং থেকে ভারত আরও পদক জিততে পারতেন বলে মনে করেন ফেডারেশন সভাপতি। অতিমারী পরিস্থিতিতে ভারতীয় বক্সাররা সেভাবে খুলে অনুশীলন করতে পারেননি বলেও জানিয়েছেন অজয় সিং।