অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনে ধাক্কা শাটলারদের! করোনার জেরে স্থগিত ইন্ডিয়া ওপেন
দেশে উদ্বেগজনকভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় এবার স্থগিত রাখা হলো আরও একটি টুর্নামেন্ট। যার জেরে ব্যাডমিন্টন তারকাদের অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের বিষয়টি ধাক্কা খেল। করোনার জেরে এবার স্থগিত রাখা হলো ইন্ডিয়া ওপেন সুপার ৫০০ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট।
দিল্লিতে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল মে মাসের ১১ থেকে ১৬ তারিখ অবধি। কিন্তু রাজধানী-সহ গোটা দেশে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে তার জেরেই এই টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত। টোকিও অলিম্পিক্সে শাটলারদের যোগ্যতা অর্জনে যে তিনটি ইভেন্ট বাকি রয়েছে, এটি তার মধ্যে অন্যতম একটি।
ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার জেনারেল সেক্রেটারি অজয় সিংহানিয়া জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আমাদের সামনে কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। চার লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কারমূল্যের এই টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন, দিল্লি সরকার-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কয়েক ধাপে লাগাতার কথাবার্তা হয়েছে। কিন্তু খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই ইন্ডিয়া ওপেন স্থগিত রাখার পথে হাঁটতে হলো বিএআইকে।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২,৭৩, ৮১০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছে, একদিনের নিরিখে যা রেকর্ড। দেড় কোটির বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত। দিল্লিতে রবিবার ২৫,৪৬২ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। যার জেরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আজ রাত থেকে আগামী সোমবার অবধি ছয় দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে এইমসে ভর্তি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও।
করোনা বেড়ে চলায় অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী ক্যারোলিনা মারিন-সহ বেশ কয়েকজন শাটলার অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনের ইভেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন। ২২৮জন খেলোয়াড় ইন্ডিয়া ওপেনে অংশ নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। কোচ, সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে তিন শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এই ইভেন্ট আয়োজন ঝুঁকি হয়ে যাবে বলেই তা স্থগিতের পথে হাঁটল ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া।
গত বছরও ইন্ডিয়া ওপেন করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ থেকে ডিসেম্বর অবধি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সৈয়দ মোদী সুপার ৩০০ ইভেন্টও বাতিল করা হয় একই কারণে।