হার দিয়ে প্রো কবাডি লিগে অভিযান শুরু করল বাংলার দল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স
হার দিয়ে প্রো কবাডি লিগে অভিযান শুরু করল বাংলার দল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স
প্রো কবাডি লিগের নবম সংস্করণের প্রথম ম্যাচেই হারল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সকে ৪১-৩৩ ব্যবধানে পরাজিত করল হরিয়ানা স্টিলার্স। বাংলার ফ্রাঞ্চাইজি কবাডি দলটির ডিফেন্স লাইন এই ম্যাচে প্রত্যাশা মতো পারফর্ম করতে পারেনি। মনিন্দর সিং একাই ৭ পয়েন্ট এনে দেন রেইডে।
এ দিন ডিফেন্ডারের পরিবর্তে অধিকাংশ অল-রাউন্ডার খেলায় বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। ডিফেন্ডারদের মধ্যে এক মাত্র সফল লেফচ কর্নারের গিরিশ মারুতি। তিনি ৬ পয়েন্ট এনে দেন। পরিবর্তন হিসেবে নামা অলরাউন্ডার মনোজ গোড়া মোট ৮ পয়েন্ট এনে দেন। ৮টি পয়েন্টই তিনি পান রেইডে। দু'টি ট্যাকেল করার চেষ্টা করলেও দুইটিতেই ব্যর্থ হতে হয়েছে তাঁকে।
এক কথায় বলতে গেলে হরিয়ানাকে একাই এই ম্যাচে কার্যত জিতিয়ে কোর্ট ছেড়েন মনজিৎ। এই তারকা রেডার রেকর্ড ১৯ পয়েন্ট অর্জন করেন। প্রো কবাডি লিগে কোনও রেডার বা ডিফেন্ডার বা অলরাউন্ডারকে অতীতে এক সঙ্গে এত পয়েন্ট অর্জন করতে খুব একটা দেখা যায়নি। ১টি ট্যাকেল পয়েন্ট ১৫টি টাচ পয়েন্ট এবং তিন পয়েন্ট বোনাস তিনি অর্জন করেন।
শনিবারের প্রথম দু'টি ম্যাচ টাই হয়। প্রথম ম্যাচ পাটনা পাইরেটস এবং পুনেরি পালটনের মধ্যেকার ম্যাচ সমাপ্ত হয় ৩৪-৩৪ ব্যবধানে। পাটনার হয়ে সর্বাধিক আট পয়েন্ট রেডার সচিন অর্জন করেন। ৬ পয়েন্ট অর্জন করেন অলরাউন্ডার রোহিত গুলিয়া। পুনেরি পালটনের হয়ে দুই রেডার আসলাম ইনামদার এবং মোহিত গোয়াত যথাক্রমে ৭ এবং ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন। ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন আকাশ শিন্ডে।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ গুজরাত টাইটনস এবং তামিল থালাইভার মধ্যে ড্র হয়েছে। ম্যাচ শেষে দুই দলেরই পয়েন্ট ৩১-৩১। গুজরাত জায়ান্টসের হয়ে রেডার রাকেশ একাই ১৩ পয়েন্ট অর্জন করেন। অপর রেডার এবং দলের অধিনায়ক চন্দ্রন রঞ্জিত পাঁচ পয়েন্ট পান। অলরাউন্ডার প্রতীক ধাইয়া সংগ্রহ করেন ৪ পয়েন্ট। তামিল থালাইভাসের হয়ে রেডার নরেন্দ্র ১০ পয়েন্ট অর্জন করেন। দলের অধিনায়ক রেডার পবন সেহরাওয়াত ১ পয়েন্ট মাত্র পান। ডিফেন্স লেফট কর্নারে পরিবর্তিত ডিফেন্ডার হিমাংশু ৫ পয়েন্ট পান।