সিন্ধুর পর লক্ষ্য, কমনওয়েলথ গেমসের ব্যাডমিন্টনে সিঙ্গলসে জোড়া সোনা ভারতের
কমনওয়েলথ গেমসের শেষ দিনে ভারতের ঝুলিতে জোড়া সোনা। মহিলাদের সিঙ্গলসে সোনা জেতেন পিভি সিন্ধু। এরপরই পুরুষদের সিঙ্গলসে সোনা লক্ষ্য সেনের। মালয়েশিয়ার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রথম গেমে পিছিয়ে পড়ার পর লক্ষ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান দ্বিতীয় গেমে। নির্ণায়ক গেমে মালয়েশিয়ার এনজি জে ইয়ং মরিয়া লড়াই চালালেও লক্ষ্যকে থামাতে পারেননি।
|
সোনার লক্ষ্যভেদ
বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসের মিক্সড টিম ইভেন্টে ভারত রুপো জিতেছিল। সেই দলে সিন্ধুর সঙ্গে ছিলেন লক্ষ্যও। ২০ বছরের এই শাটলার এদিন কেরিয়ারে প্রথম কমনওয়েলথ গেমস পদক জিতলেন। সেটি সোনা-ই! চলতি বছরই ব্যাঙ্ককে থমাস কাপে পুরুষদের দলগত বিভাগে সোনাজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন লক্ষ্য। গত বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ব্রোঞ্জ জেতেন। ২০২০ সালে ম্যানিলায় এশিয়া টিম চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুষদের দলগত বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন লক্ষ্য। ফলে নিশ্চিতভাবেই তাঁর কেরিয়ারের সেরা সাফল্য কমনওয়েলথ গেমসের এই সোনা।
পাড়ুকোন আকাদেমির ছাত্র
থমাস কাপের পর থেকেই দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন লক্ষ্য সেন। প্রকাশ পাড়ুকোনের আকাদেমি থেকে উঠে আসা লক্ষ্যের ফিটনেস লেভেলের প্রশংসা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তিনি যেভাবে নিজেকে মেলে ধরছেন তাতে আগামী দিনে তিনি আরও অনেক সাফল্য পাবেন বলে আশাবাদী তাঁরা। ১৯৭৮ সালে এডমন্টনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসের ব্যাডমিন্টনে সোনা জিতেছিলেন প্রকাশ পাড়ুকোন। পুল্লেলা গোপীচাঁদের ঝুলিতে অবশ্য কমনওয়েলথ গেমসের সিঙ্গলস সোনা নেই। তিনি ১৯৯৮ সালে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জ ও পুরুষদের দলগত বিভাগে রুপো জিতেছিলেন।
পরিবার ও কোচকে সোনা উৎসর্গ
উত্তরাখণ্ডের আলমোরার লক্ষ্য সেনের বাবা ডি কে সেন নিজেও একজন কোচ। লক্ষ্যর দাদা চিরাগ সেনও আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। এদিন সোনা জেতার পর এই সাফল্য লক্ষ্য উৎসর্গ করলেন তাঁর বাবা, মা, দাদা, কোচ এবং প্রকাশ পাড়ুকোন আকাদেমির সকলকেই। প্রথম গেম হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় গেম দাপটের সঙ্গেই জেতেন লক্ষ্য। তৃতীয় গেমে সব সময়ই ২ থেকে ৩ পয়েন্টের ব্যবধান বজায় থাকায় সোনা জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসীই ছিলেন এই শাটলার।
সাফল্যের সরণি
এবারের কমনওয়েলথ গেমসে লক্ষ্য রাউন্ড অব ৩২-এর ম্য়াচে সেন্ট হেলেনার ভার্নন স্মিডকে হারিয়েছিলেন ২১-৪, ২১-৫ ব্যবধানে। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার লিন জিয়াং ইংকে হারিয়েছিলেন, খেলার ফল ২১-৯, ২১-১৬। কোয়ার্টার ফাইনালে মরিশাসের জুলিয়েন জর্জেস পলকে তিনি পরাস্ত করেন ২১-১২, ২১-১১ ব্যবধানে। সেমিফাইনালে লক্ষ্য হারান সিঙ্গাপুরের জিয়া হেং তেহকে। খেলার ফল ছিল ২১-১০, ১৮-২১, ২১-১৬।
কমনওয়েলথ গেমসে টেবিল টেনিসের সিঙ্গলসে সোনা শরথ কমলের, ব্রোঞ্জ জিতলেন সাথিয়ান