কমনওয়েলথ গেমসের মহিলা হকিতে ভারতের জয়, ভল্ট ফাইনালে বাংলার প্রণতি
কমনওয়েলথ গেমসে মহিলা হকিতে টানা দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। পুল এ-র ম্যাচে হারাল ওয়েলসকে। জোড়া গোল করেন বন্দনা কাটারিয়া। জিমন্যাস্টিক্সে পদকের আশা জাগিয়েছেন প্রণতি নায়ক। দ্বিতীয় হয়ে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন ভল্টের ফাইনালে। আজ পুরুষ ও মহিলাদের অল-অ্যারাউন্ড ফাইনাল রয়েছে। ভল্ট ফাইনাল সোমবার।
ওয়েলসের বিরুদ্ধে হকিতে ৩-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারতের মহিলা দল। তিনটি গোলই এসেছে পেনাল্টি কর্নার থেকে। বন্দনার জোড়া গোলের পাশাপাশি গোল পেয়েছেন গুরজিৎ কৌর। আগাগোড়া এই ম্যাচে আধিপত্য বজায় রাখে ভারতীয় দল। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে খামতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করার ক্ষেত্রে আরও দক্ষতা দেখানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ম্যাচে সাতটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও তা থেকে গোল এসেছে তিনটি। অন্যদিকে, ওয়েলস একটি সুযোগ পেয়ে সেটা থেকেই গোল করেছে। ভারত যতটা আক্রমণাত্মক ছিল তাতে জয়ের ব্যবধান বাড়তে পারতো। ওয়েলসের গোলকিপার রোজানে থমাস দুরন্ত পারফরম্য়ান্স উপহার দেন।
বল দখল ও আক্রমণের নিরিখে ভারতের কোনও খামতি ছিল না, তবে প্রথম কোয়ার্টারে গোল আসেনি। ১৩ মিনিটে মনিকার শট প্রতিহত করেন থমাস। ২৬ মিনিটে গুরজিতের ফ্লিক থেকে বল জালে জড়ান বন্দনা। দু মিনিট পর আরেকটি পেনাল্টি কর্নার থেকে জোরালো নীচু ফ্লিকে গুরজিৎ গোল করেন। প্রান্ত বদলের পর ভারত আরও একটি পেনাল্টি কর্নার পায়। দীপ গ্রেসের শট বাঁচান থমাস। এর এক মিনিট পর বন্দনার বৃত্তের মধ্যে থেকে নেওয়া বন্দনার রিভার্স হিট বাঁচান তিনি। ৪৪ মিনিটে শর্মিলা দেবীর রিভার্স হিটও বাঁচিয়ে দেন তৎপর থমাস। তৃতীয় কোয়ার্টার শেষের ১৩ সেকেন্ড আগে ওয়েলস গোল পায়। ৪৭ মিনিটে ভারত আরও একটি পেনাল্টি কর্নার পায়, যেটি ভারতের ষষ্ঠ। গুরজিতের স্যুইপ শট জালে জড়াতে দেননি থমাস। এর এক মিনিট পর অবশ্য ভারত আরেকটি পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে। মনিকার জোরালো স্ল্যাপ শট বন্দনা জালে জড়ান। ভারত ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে শেষ অবধি এই লিড ধরে রাখে। মঙ্গলবার ভারতের মহিলা হকি দলের সামনে আয়োজক ইংল্যান্ড।
এদিকে, বাংলার প্রণতি নায়েককে ঘিরে ভল্ট ফাইনালে পদকের আশা করা হচ্ছে। টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়া প্রণতি ১৩.৬০০ স্কোর করেন ভল্টের প্রথম প্রয়াসে। দ্বিতীয় প্রয়াসে স্কোর হয় ১২.৯৫০। প্রণতির গড় দাঁড়ায় ১৩.২৭৫। ১৩.৫০০ স্কোর করা স্কটল্যান্ডের শ্যানন আর্চারের পরের স্থানটি দখল করেই প্রণতি ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন। অ্যাপারেটাস ইভেন্টে পরের পর্বে যেতে আটে থাকতে হতো। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা সামন্ত সেই আটের মধ্যে থাকতে পারেননি। ভল্ট ইভেন্টে প্রতিষ্ঠা ১১.৯৫০ গড় স্কোর নিয়ে দশম স্থানে থাকেন। রাথুজা নটরাজ ভল্টে ১২.৩০০, আনইভেন বারসে ১১.৯৫০, ব্যালান্স বিমে ১১.৩৫০, ফ্লোর এক্সারসাইজে ১০.৬৫০ স্কোর করায় কম্বাইন্ড টোটাল দাঁড়ায় ৪৬.২৫০। প্রণতির কম্বাইন্ড টোটাল ৪৩.৫০০। প্রতিষ্ঠা নেমেছিলেন ভল্ট অ্যাপারেটাসে। মহিলাদের দলগত ক্যাটেগরিতে প্রণতি, প্রতিষ্ঠা ও রাথুজার কম্বাইন্ড স্কোর ১০২.৬৫০ হওয়ায় ভারত দশম স্থান দখল করে। ভারতের যোগেশ্বর সিং অল অ্যারাউন্ড ফাইনালে ওঠেন ১৮তম স্থানে থেকে। সৈফ তাম্বোলি, সত্যজিৎ মণ্ডল ও যোগেশ্বর সিং অবশ্য দলগত ইভেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন।