ভবানীর হাত ধরে অলিম্পিকের ফেনসিংয়ে প্রথমবার ভারতের উপস্থিতি
ভবানীর হাত ধরে অলিম্পিকের ফেনসিংয়ে প্রথমবার ভারতের উপস্থিতি
এই প্রথমবার অলিম্পিকের ফেনসিং (তরোয়াল খেলা) ইভেন্টে অংশ নিতে চলছে ভারত। সিএ ভবানী দেবীর হাত ধরে টোকিও অলিম্পিকে ইতিহাস রচনা করার পথে দেশ। একাধারে হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট বিশ্বকাপে জায়গা করে এর আগেই ইতিহাস রচনা করেছিলেন তামিলনাড়ুর কন্যা। যিনি ভারতকে এক অন্য রকম সন্তুষ্টি দিতে সক্ষম হয়েছেন।
ভারতের ২৭ বছরের অ্যাথলিট এর আগে হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট বিশ্বকাপের ফেনসিং ইভেন্ট নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন। ইভেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে ওই দেশরই প্রতিপক্ষকে হারিয়েছেন সিএ ভবানী। যার ফলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। অ্যাডডাস্টেড অফিসিয়াল র্যাঙ্কিং বা এওআর মেথডের মাধ্যমে টোকিও অলিম্পিক ২০২১-এর মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন তামিলনাড়ুর কন্যা।
১৯৯৩ সালের ২৭ অগাস্ট চেন্নাইয়ে জন্ম সিএ ভবানী দেবীর। যাঁর মা একজন গৃহবধূ এবং বাবা মন্দিরের পুরোহিত। মধ্যবিত্ত পরিবারে চার সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ভবানীর ভাবনা শৈশব থেকেই ছিল অন্যরকম। ২০০৩ সালে ভবানীর ক্রীড়া জীবন শুরু হয়। এর এক বছর আগে তাঁর স্কুলে ফেনসিং ইভেন্টের ক্লাস শুরু হয়। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ওই খেলার মতো তাঁর ভালোবাসা জন্মে যায়। শুরু হয় ট্রেনিং। তখন থেকেই তিনি বিশ্বমঞ্চে সাড়া জাগানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন বলে জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর অ্যাথলিট।
১৪ বছর বয়সে কেরলের স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সাইয়ের সেন্টারে ভবানী দেবীর নাম নথিভূক্ত হয়। সেখান থেকে তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়। নিরলস পরিশ্রম এবং একাগ্রতা দিয়ে তিলে তিলে নিজেকে তৈরমি করতে থাকেন ভবানী। ফেনসিংয়ে আট বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এই ২৭ বছরের অ্যাথলিট ২০০৯ সালে মালেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন। ২০১০ সালে থাইল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল ওপেন থেকেও দেশকে ব্রোঞ্জ দিয়েছেন ভবানী। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় কানবেরা অনুষ্ঠিত হওয়া সিনিয়র কমনওয়েলথ ফেনসিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন তামিলনাড়ুর ক্রীড়াবিদ। একই বছর আইসল্যান্ডের মহিলা বিশ্বকাপ স্যাটেলাইট টুর্নামেন্টেও সোনা জেতেন ভবানী দেবী।
জাহাজের ছাদে পেশাদার বক্সিং, রাশিয়ান প্রতিপক্ষকে বাচ্চা বললেন অপ্রতিরোধ্য বিজেন্দর