চা বিক্রি করেই পেট চলে এশিয়ান গেমস-এর এই মেডেলজয়ীর ! এক অসামান্য লড়াইয়ের কাহিনি জানুন
ভারতীয় 'সেপক টকরাও টিম'-এর সদস্য হরিশ কুমার। দিল্লির হরিশের জীবিকা অর্জনের উপায় বলতে, বাবার চায়ের দোকানে নিত্যদিন চা বিক্রি করা।
ভারতীয় 'সেপক টকরাও টিম'-এর সদস্য হরিশ কুমার। দিল্লির হরিশের জীবিকা অর্জনের উপায় বলতে, বাবার চায়ের দোকানে নিত্যদিন চা বিক্রি করা। আর এভাবেই এই খেলোয়াড় দিনের পর দিন দারিদ্রের সঙ্গে লডা়ই চালিয়ে গিয়েছেন। লড়াকু এই খেলোয়াড় এশিয়ান গেমস ২০১৮ -এ দেশকে এনে দিয়েছেন ব্রোঞ্জ মেডেল।
হরিশ বলছেন, 'আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক। আর আয়ের রাস্তা খুবই ক্ষীণ। আমি আার বাবাকে চায়ের দোকানে সাহায্য করি। যাতে পরিবারের আয়ের সুরাহা হয়। প্র্যাকটিসের জন্য আমি প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা সময় পাই। আমার সুরক্ষিত ভবিষ্যতের জন্য আমি চাকরি চাই।' ২০১১ থেকে খেলার নেশায় হুঁদ হয়েছেন হরিশ। কোচ হেমরাজের হাত ধরে স্পোটর্স অথারিটি অফ ইন্ডিয়াতে তার প্রবেশ। তারপর এই গুণী খেলোয়াড়কে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
চরম দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে হরিশকে মানুষ করেছেন বলে জানান, এই ব্রোঞ্জজয়ীর মা। হরিশের বাবা চায়ের দোকান চালাবার পাশাপাশি অটো চালাতেন। আর সেই রোজগার থেকে পেট চলে হরিশদের। ছেলে এশিয়াডে সাফল্য পাওয়ার পর, এবার সুদিন ফেরার স্বপ্ন দেখছে হরিশ সহ তাঁর গোটা পরিবার।