কমনওয়েলথে ভারতের চতুর্থ পদক, ভারোত্তোলনে রূপো জিতলেন বিন্দিয়া রানি দেবী
Array
শনিবার কমনওয়েলথ গেমসে মহিলাদের ৫৫ কেজি ইভেন্টে ভারোত্তোলক বিন্দিয়া রানি দেবী রূপো পদক জিতেছেন। তিনি তাঁর ইভেন্টে ভারোত্তোলনে মোট ২০২ কেজি ওজন ওঠান। তাঁর সেরা প্রচেষ্টা ছিল ৮৬ কেজি এবং তিনি ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৬ কেজি ভার উত্তোলন করেন।
বিন্দিয়া রানি তার শেষ ক্লিন অ্যান্ড জার্ক প্রচেষ্টার আগে তৃতীয় স্থানে বসেছিলেন, এরপর দ্বিতীয় স্থান দখল করার জন্য ১১৬ কেজি ব্যক্তিগত সেরা লিফ্ট রেকর্ড করেন। স্বর্ণপদক জিতেছেন নাইজেরিয়ার ওলারিনয়, যিনি মোট ২০৩ কেজি তুলেছেন। বিন্দ্যারানি দেবী জয়ের ফলে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের চতুর্থ পদক চলে এল। ঘটনাচক্রে চারটি পদকই ভারোত্তোলন থেকে এসেছে।
কমনওয়েলথ গেমসে এ ভারোত্তোলনে রূপো জয়ের জন্য বিন্দিয়া রানি দেবীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি লেখেন, 'বিন্দ্যারানি দেবী পদক জয়ের জন্য অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনি গেমসে আপনার সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স তুলে ধরেছেন প্রত্যেক ভারতীয় আপনার সাফল্য গর্বিত"
গতকাল কমনওয়েলথ গেমসে সোনা যেতেন মীরাবাঈ চানু। তিনি অলিম্পিকের ভর কমনওয়েলথের মঞ্চেও নিজের জয় যাত্রা বজায় রাখলেন। তবে ২০২২- কমনওয়েলথে ভারতের প্রথম পদক এনে দেন সঙ্কেত মহাদেব সারগার। তিনিও রূপো জিতেছিলেন। সঙ্কেত মহাদেব সারগার পদক জেতার পর তাঁর লড়াইয়ের কথা বলেন। না , তাঁর জীবনের লড়াইয়ের কথা নয়। ওই লড়াই ছিল ভারউত্তোলন করতে এসে তাঁকে যে সমস্য, ব্যথা, যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সেই কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন "আমি ভর তোলার সময় প্রথমে একটা শব্দ শুনতে পাই এবং এটা ব্যথা দিতে শুরু করে আমাকে। প্রথমবার যখন এটা হল তখনও আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম আমি ছেড়ে দেব না এবং দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বার হওয়ার আওয়াজ হবার পরেও আমি থেমে থাকিনি"। এরপর তিনি বলেন , "আমার ঝুঁকি নেওয়া উচিত ছিল কারণ আমি একটা পদক পেতে চেয়েছিলাম। আমার এখন প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে, আমি আমার হাতটি আলগা ছেড়ে দিতে পারছি না এবং মনে হচ্ছে ভেতর থেকে কে যেন আমার হাতটাকে টানছে। আমার পায়ে কিছুই হয়নি তবে এটা হওয়ার জন্য আমার পা বেঁকে যায় তাই রুপো পদক দিতে হল দেশকে। তবে এটাও ঠিক ওই কষ্টের মধ্যেই আমার মনে জোর ছিল। তাই এটি খুব বেশি ব্যথা তখন হয়নি পরে বুঝতে পারি কষ্টটা।"
আবার তিনি এও বলেন, "আমি দুঃখিতও কিছুটা কারণ আমি সোনার জন্য পোডিয়ামে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। আমি ৪ বছর ধরে এর জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমি নিজেকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করেছি যে আমাকে সোনা জেতাতে পারে। আমি একটু হতাশ আবার একটু খুশি , কারণ আমি একটি পদক পেয়েছি। আমি এটি সেই সমস্ত যোদ্ধাদের উত্সর্গ করতে চাই যারা জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য লড়ে যাচ্ছেন।"