মাদক কেলেঙ্কারির দায়ে টোকিও অলিম্পিকে নেই অস্ট্রেলীয় কের্মন্ড, চওড়া করোনার থাবাও
করোনার থাবায় যখন বেশ কয়েকজন অ্যাথলিটের টোকিও অলিম্পিকে নামার স্বপ্ন চুরমার, করোনার দাপট বৃদ্ধির মাঝেই অলিম্পিকের আসরে এবার মাদক কেলেঙ্কারি। নমুনাতে কোকেনের উপস্থিতি মেলায় টোকিও অলিম্পিক থেকে প্রাথমিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার শো জাম্পার ইকুয়েস্ট্রিয়ান জেমস কের্মন্ডকে।
(ছবি- ইনস্টাগ্রাম ভিডিও)
ইকুয়েস্ট্রিয়ান অস্ট্রেলিয়ার তরফে আজ জানানো হয়েছে, ইকুয়েস্ট্রিয়ান জাম্পিং অ্যাথলিট কের্মন্ডের এ স্যাম্পেলে কোকেনের উপস্থিতি মিলেছে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং পলিসি অনুযায়ী তাঁকে তাই টোকিও অলিম্পিকের থেকে প্রাথমিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ২৬ জুন তাঁর যে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছিল স্পোর্টস ইন্টিগ্রিটি অস্ট্রেলিয়া, তাতেই কের্মন্ড যে কোকেন নিয়েছেন তা স্পষ্ট হয়েছে। তবে কের্মন্ড বি স্যাম্পেল পরীক্ষার দাবি জানাতেই পারেন। কিন্তু নির্বাসনে থাকাকালীন তিনি টোকিও অলিম্পিক-সহ ওয়াডার আওতাধীন কোনও ইভেন্টেই অংশ নিতে পারবেন না। উল্লেখ্য, ৩৬ বছরের কের্মন্ডের এবারই প্রথম অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সুযোগ মিলেছিল।
এদিকে, গেমস ভিলেজে আগেই অ্যাথলিটদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছিল। এবার গেমস ভিলেজের বাইরে থাকা এক অ্যাথলিটও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। গেমসের সঙ্গে যুক্ত এমন ক্রীড়াবিদ, আধিকারিক-সহ মোট ৬৮ জন ১ জুলাইয়ের পর থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জাপানবাসীর আশঙ্কা, অলিম্পিক হতে পারে সুপার স্প্রেডার ইভেন্ট। এমনকী করোনা পরিস্থিতির জন্য অলিম্পিক বন্ধ করা নিয়েও চর্চা চলছে। কিন্তু জাপানের প্রাইম মিনিস্টার ইওশিহিদে সুগা কিংবা আইওসি প্রধান থমাস বাখের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেডস আধানমও চাইছেন, অলিম্পিক চলুক। সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সফলভাবে যে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও অলিম্পিকের মতো বড় আসর আয়োজন করা যায়, সেই বার্তাই বিশ্বকে দিতে চাইছেন সকলে।