এক পাঞ্চে নকআউট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, হেভিওয়েটের তিনটি খেতাব এখন জোশুয়ার পকেটে
আগে ডব্লুবিএ, আইবিএফ হেভিওয়েট খেতাবও নিজের করায়ত্ত করেছেন জোশুয়া। এবার ডব্লুবিও বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপও জিতে নিলেন। শুধু ডব্লুবিসি হেভিওয়েট তাঁর অধরা।
এবার ডব্লুবিও বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপও জিতে নিলেন অ্যান্টনি জোশুয়া। এই খেতাব জয়ের পথে ২৮ বছরের জোশুয়া নকআউট করলেন নিউজিল্যান্ডের জোসেফ পার্কারকে। এর আগে ডব্লুবিএ, আইবিএফ হেভিওয়েট খেতাবও নিজের করায়ত্ত করে নিয়েছেন। এখন শুধু ডব্লুবিসি হেভিওয়েট তাঁর অধরা থাকল।
এদিন জোশুয়া আর পার্কারের মধ্যে উপভোগ্য লড়াই দেখা যায়। নিজেকে নিরপাপদ দূরত্বে রেখে বাঁ-হাতের পাঞ্চে বিপক্ষকে নকআউট করে ছাড়েন জোশুয়া। তিনি এই ওস্তাদের মার দেওয়ার আগে নিজেকে এমন জায়গায় রেখেছিলেন যে, পার্কারের পক্ষে পাল্টা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিন কার্ডিফের স্টেডিয়াম জোসেফ পার্কার আর অ্যান্টনি জোশুয়ার লড়াই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছে। শেষপর্যন্ত উত্তজেনা ছিল- কী হয়, কী হয়। একেবারে শেষ ল্যাপে ওস্তাদের মার দিয়ে জয়ী হলেন জোশুয়া। তাঁর পক্ষে ফলাফল ছিল ১১৮-১১০, ১১৮-১১০, ১১৯-১০৯। নিজেকে বাঁচিয়ে ঠান্ডা মাথায় এই জয় হাসিল করেছেন জোশুয়া, তা এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। সারা খেলায় জোশুয়া কখনও বিপক্ষকে বোনাস পয়েন্ট দেননি। সেই কারণেই তাঁর দিকে ঢলে পড়েছে ম্যাচ।
জোশুয়া জানতেন, তাঁর বিপক্ষে যিনি রয়েছেন, ২৬ বছরের জোসেফ পার্কার তিনি সুযোগ পেলেই সদ্ব্যবহার করবেন। তাই কোনওরকম সুযোগ না দিয়ে রক্ষণ মজবুত করে তিনি এগিয়েছেন এবং তাঁর সুফলও পেয়েছেন। ঘোষক পয়েন্ট ঘোষণা করার পরই রিংয়ের মধ্যে শূন্যে দু-হাত তুলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন জোশুয়া। অভিনন্দন কুড়িয়েছেন উপস্থিত দর্শকদের। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর এই সাফল্যের মূলে ছিল সুপরিকল্পিত চিন্তা-ভাবনা। এর আগে দুই ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন কখনও মুখোমুখি হননি। তাই প্রথম সাক্ষাতে জয় পেতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই মুখিয়ে ছিলেন।