ধর্ষণের চেষ্টা, ফেলে দেওয়া হয় ছাদ থেকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি মহিলা বাস্কেটবল খেলোয়াড়
ধর্ষণের চেষ্টা, ফেলে দেওয়া হয় ছাদ থেকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি মহিলা বাস্কেটবল খেলোয়াড়
ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল পাঞ্জাব। তিন যুবক মিলে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীকে প্রথমে ধর্ষণের চেষ্টা এবং পরে স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় উত্তাল পাঞ্জাব। এই ঘটনায় অভুযুক্ত তিন এখনও পলাতক। ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া বিশাল ভাবে আহত হয়েছেন ১৮ বছর বয়সী ওই মহিলা বেস্কেটবল খেলোয়াড়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, আহত মহিলা বাস্কেটবল খেলোয়াড় এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন লুধিয়ানার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। দুই পা এবং চোয়ালে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী। ১২ অগস্ট এই ঘটনাটি ঘটে। তিন অভিযুক্ত এখনও ফেরার, জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
নির্যাতিত বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের বাবার দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, অনুশীলনের জন্য মোগার একটি স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী। তিন অভিযুক্তের মধ্যে এক জনকে সনাক্ত করা হয়েছে যার নাম যতীন কান্দা, সে ওই তরুণীতে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পুলিশের কাছে নির্যাতিতার বাবা এ-ও জানিয়েছে, যখন তাঁর মেয়ে ওই দুস্কৃতিদের আটকানোর চেষ্টা করে এবং ওই স্থান থেকে পালিয়ে বাঁচার প্রয়াস করে তখন ওই অভিযুক্ত ২৫ ফুট উঁচু স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেয় মেয়েটিকে। অত উঁচু থেকে পড়ার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চোট পেয়েছেন ওই তরুণী।
একাধিক ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আইপিসি-র ৩০৭ ধারায় হত্যার চেষ্টার, ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্ত তিন জনের বিরুদ্ধে। গত মাসের প্রথম দিকে হরিয়ার এক মহিলা এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তাঁকে ধর্ষণ করার অভিযোগ তুলেছিলেন। ওই মহিলা জানিয়েছিলেন, তিনি যখন জেলে ছিলেন সেই সময় ওই পুলিশ আধিকারিক তাঁকে ধর্ষণ করে। ২০১৬ সালে অমৃতসর জেলে থাকার সময়ে ধর্ষিত হতে হয়েছিল তাঁকে, জানান ওই মহিলা। ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ইমিগ্রেশন ফ্রডের কারণে ওই মহিলা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁকে তিন বছরের হাজতবাস দেয় আদালত। তবে, ১৬ মাস জেলে কাটানোর পর বর্তমানে তিনি জামিন পেয়ে বাইরে রয়েছেন।
Asia Cup: এশিয়া কাপের ইতিহাসে সেরা পাঁচ রান সংগ্রহকারী কারা, জেনে নিন