চড়া স্পেকট্রামের ধাক্কায় চড়া হবে মোবাইলের বিলও
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, সরকার স্পেকট্রামের নিলাম বাবদ ৬১ হাজার কোটি টাকা ঘরে তুলবে। স্পেকট্রাম পেতে সবচেয়ে বেশি টাকা দিচ্ছে এয়ারটেল ও ভোডাফোন। এয়ারটেল ১৮,৫৩০ কোটি টাকা খরচ করে স্পেকট্রাম কিনবে বলে খবর। ভোডাফোনও অনুরূপ পরিমাণ টাকা খরচ করবে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাপ পড়বে কোম্পানিগুলির ভাঁড়ারে। আর সেই টাকা তারা গ্রাহকদের থেকে তুলবে। তাই খুব শীঘ্র আপনার কল চার্জ, এসএমএস চার্জ, ডেটা প্ল্যান বাবদ খরচ বাড়তে চলেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে রোমিং চার্জ।
এখন প্রশ্ন হল, স্পেকট্রাম কী? আপনি যখন মোবাইল ফোনে কথা বলেন, ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তখন সংযোগ রক্ষিত হয় নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য মারফত। তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত শক্তিশালী হবে, আপনি তত ভালো পরিষেবা পাবেন। এ জন্য টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি ইত্যাদিতে তফাত রয়েছে। আপনি টু-জি সংযোগ ব্যবহার করলে যত ভালো পরিষেবা পাবেন, থ্রি-জি বা ফোর-জি ব্যবহার করলে তার চেয়ে অনেক ভালো পরিষেবা পাবেন। তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একক হল হার্জ। যেমন দূরত্বের একক কিলোমিটার। তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ক্ষমতা অনুযায়ী তাকে কিলোহার্জ, মেগাহার্জ, গিগাহার্জ ইত্যাদি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যারা যত টাকা সরকারকে দেবে, তাদের সেই অনুযায়ী তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহারের অনুমতি বা লাইসেন্স মিলবে। একেই চলতি ধারণায় বলা হয় স্পেকট্রাম। এতদিন টেলিকম কোম্পানিগুলি যে স্পেকট্রাম ব্যবহার করত, তার লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়ে আসায় নতুন করে স্পেকট্রাম কিনতে হবে।