তিন বছর পর মমতার শপথের দিনেই খেলা ঘুরল! বাংলায় আরও বড় এক ধাক্কা দিলীপ-শুভেন্দুদের
২০০ বেশি আসন নিয়ে ফের একবার বাংলার মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গে বিজেপি পায়ের তলার মাটি হালকা হয়েছে। এই অবস্থায় পুরানো কর্মীদের ফের তৃণমূলে স্বাগত জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত কোনও নেতা কিংবা বিধায়ক তৃণ
২০০ বেশি আসন নিয়ে ফের একবার বাংলার মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গে বিজেপি পায়ের তলার মাটি হালকা হয়েছে। এই অবস্থায় পুরানো কর্মীদের ফের তৃণমূলে স্বাগত জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত কোনও নেতা কিংবা বিধায়ক তৃণমূলে না ফিরলেও নেতৃত্বের দাবি, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই অনেকেই তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন।
অন্যদিকে ৩ বছর পর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি গঠিত হতে চলেছে। বোর্ডের রাশ যাচ্ছে তৃণমূলের হাতে। ভোটের পর যা কিনা বঙ্গ বিজেপির কাছে আরও বড় ধাক্কা হিসাবেই মনে করা হচ্ছ।
পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে চলেছে শাসক দল
বিজেপির অন্যতম শক্তঘাঁটি ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর। সেখানেও ফুটেছে ঘাসফুল। এই অবস্থায় কেশিয়াড়িতে বিজেপিতে বড় ভাঙন ধরাতে চলেছে তৃণমূল। আর বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়েই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে চলেছে শাসক দল। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল হয়েছিল ২০১৮-তে। আর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হচ্ছে ২০২১-এ। দীর্ঘ ৩ বছরের টালবাহানার পর, অবশেষে কাজ শুরু করতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি। মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নেওয়ার দিনই বিজেপিতে বড় ভাঙন ধরায় তৃণমূল। আর তাতেই খেলা ঘুরে যায়।
বিজেপির তিন সদস্য যোগ দেন ঘাসফুলে
একদিকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্যে বাংলায় শপথ নিছেন অন্যদিকে তখন বিজেপিতে বড় ভাঙন। পঞ্চায়েত সমিতির তিন বিজেপি সদস্য যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৫ আসনে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ১৩টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। অন্যদিকে ১২টি আসন পায় তৃণমূল। কিন্তু, গেরুয়া শিবির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, বোর্ড গঠন করতে পারেনি তারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, এই যুক্তিতে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই ঘুরে গেল খেলা।
বোর্ড গঠন নিয়ে চলছিল টালমাটাল!
বোর্ড গঠন হওয়া নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই চলছিল সমস্যা। গত বছর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন দুই জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ১২ থেকে বেড়ে ১৪ হয়। অর্থাৎ, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় তারা। সূত্রের খবর, তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে থাকায়, সেইসময় বোর্ডের রাশ নিতে পারেনি তারা। এরপর বুধবার আরও তিন সদস্য দলবদল করায় তৃণমূলের সদস্যা সংখ্যা বেড়ে ১৭ হল। অন্যদিকে, বিজেপির ঝুলিতে রইল মাত্র ৮টি আসন। শাসক দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবে কেশিয়ারি পঞ্চায়েত সমিতি।
তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন অনেকেই
ভোটের আগে দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু নীলবাড়ির লড়াইয়ে তাঁদের অধিকাংশকেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। তবে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পরও দলত্যাগীদের প্রতি উদারতা দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরতে চাইলে সকলকেই দলে স্বাগত জানাবেন বলে জানালেন তিনি। মমতার এই বার্তার পরেই অনেকেই তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন বলে দাবি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূলের এক অংশ তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে আবেদন করেছেন যে, ভোটের আগে যারা তৃণমূলকে বিপদে ফেলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের ফেরানো যাবে না।