মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাশের হারে এগিয়ে ফের পূর্ব মেদিনীপুর
মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাশের হারে এগিয়ে ফের পূর্ব মেদিনীপুর
শুক্রবার প্রকাশিত হল এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এদিন সকাল ৯টার সময় পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও পাশের হারে এগিয়ে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় পাশের হার ৯৭.৬৩ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে- কালিম্পং, পশ্চিম মেদিনীপুর ও কলকাতা। এই তিন জেলায় পাশের হার ৯৪ শতাংশের বেশি।
পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে ৪ মার্চ। ওইদিন হবে প্রথম ভাষার পরীক্ষা। ২৪ তারিখ দ্বিতীয় ভাষা। ২৫ ফেব্রুয়ারি ভূগোল, ২৭ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস, ২৮ ফেব্রুয়ারি জীবনবিজ্ঞান, ২ মার্চ অঙ্ক, ৩ মার্চ ভৌতবিজ্ঞান এবং ৪ মার্চ ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে।
এবার মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হল পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭৯ দিনের মাথায়। পরীক্ষা দিয়েছিল প্রায় ১১ লক্ষ পড়ুয়া। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল ১১ শতাংশ বেশি। ছাত্রীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার ৯৬১ জন বেশি। তবে ছাত্রীদের পাশের হার এবার ছেলেদের তুলনায় কম। এ বছরও পাশের হারে এগিয়ে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা।
এই জেলায় পাশের হার ৯৭.৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে, কালিম্পং, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতায় পাশের হার ৯৪ শতাংশের বেশি। উত্তর ২৪ পরগনায় পাশের হার ৯১.৯৮ শতাংশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাশের হার ৮৯.০৮ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে পাশের হার ৯২.৫৯ শতাংশ।
এ বছরের পরীক্ষায় পাশ করেছে ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৭ জন। মাধ্যমিকে কোনও ফলাফল অসম্পূর্ণ নেই। পাশের হার ৮৬.৬ শতাংশ। ছাত্রদের পাশের হার ৮৮.৫৯ শতাংশ। ছাত্রীদের পাশের হার ৮৫ শতাংশ। ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে স্ক্রুটিনির জন্য।
এ বছর মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে। বাঁকুড়ার রাম হরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অর্ণব ঘড়াই ও বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌনক মণ্ডল প্রথম। অর্ণব ও রৌনক পেয়েছে ৬৯৩। মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন কৌশিকী সরকার। মালদা গাজোলের আদর্শবাণী হাইস্কুলের ছাত্রী তিনি। ৬৯২ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। ৬৯১ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দুই ছাত্রী৷ আসানসোলের অনন্যা দাশগুপ্ত এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দেবশিখা প্রধান ৷
২০২২ সালের মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ, নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাল কৃতীরা
৬৯০ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান দখল করেছে চারজন৷ এই চারজনের মধ্যে রয়েছে পাঠ ভবনের শ্রুতর্ষি ত্রিপাঠী ৷ কলকাতার মধ্যে সেই প্রথম ৷ ৬৮৯ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকের পঞ্চম স্থান দখল করেছে ১১ জন ৷ ৬৮৮ নম্বর নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ৬ জন ৷ ৬৮৭ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে দশ জন ৷ ৬৮৬ নম্বর পেয়ে বাইশ জন রয়েছে অষ্টম স্থানে ৷ ৬৮৫ নম্বর পেয়ে নবম স্থন দখল করেছে ১৫ জন ৷ দশম স্থানে রয়েছে ২৭ জন৷ তাদের প্রত্যেকেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪ ৷
Recommended Video