শুভেন্দু ও দিলীপের দাবি 'সত্যি' হওয়ার পথে! একের পর এক নেতার পদত্যাগে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলে ধাক্কা
ফের ধাক্কা তৃণমূল (trinamool congress) শিবিরে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে (east midnapur and west midnapur) একের পর এক নেতার পদত্যাগের কারণে বেশ খানিকটাই চাপে ঘাসফুল শিবির। যদিও চাপের কথা তারা অস্বীকার করেছেন। পদত্যাগ করলেও নেতারা দলত্যাগ করেননি বলেও দাবি করা হচ্ছে তৃণমূলের তরফে।

ইস্তফা যুব তৃণমূল জেলা সম্পাদকের
ইস্তফা দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সম্পাদক রাধাকান্ত দাঁ। দিন কয়েক আগে তাঁকে নারায়ণগড় ব্লকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে জেলার দায়িত্বে আনা হয়েছিল। তিনি কি দলবদল করতে পারেন, এই প্রশ্নের উত্তরে পদত্যাগী নেতা জানিয়েছেন, সময়ই কথা বলবে। তবে জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর কাজের মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন রাধাকান্ত দাঁ।

পদত্যাগ হলদিয়ার বিদায়ী পুরপ্রধানের
এদিন পদত্যাগ করেছেন হলদিয়ার বিদায়ী পুরপ্রধান শ্যামল আদক। জেলার রাজনীতিতে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। এদিন তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে তিনি নিজের থেকেই সরে যাচ্ছেন। তবে এখনই দল ছাড়ছেন না বলেও জানিয়েছেন এই নেতা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পরিকল্পনা করছিল দলেরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠী।

মেদিনীপুরের সব আসন বিজেপির!
ডাকটা প্রথম দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, লালমাটির দিলীপ ঘোষ এবং বালুমাটির শুভেন্দু অধিকারী মিলে বিজেপির হাতে অবিভক্ত মেদিনীপুরের ৩৫ টি আসনই তুলে দেবেন। প্রসঙ্গত এই ৩৫ টি আসনের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে ১৬ টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে ১৫ টি এবং ঝাড়গ্রামে রয়েছে ৪ টি আসন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে এই ৩৫টির মধ্যে ৩০ টি আসন ছিল তৃণমূলের দখলে আর তিনটি বামফ্রন্ট এবং একটি কংগ্রেসের দখলে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে তৃণমূল পূর্ব মেদিনীপুরে প্রতিপত্তি বজায় রাখতে পারলেও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে আমূল পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।

মেদিনীপুরের একের পর এক নেতার যোগদান বিজেপিতে
গত ডিসেম্বর থেকে অবিভক্ত মেদিনীপুরের রাজনৈতিক চিত্রটাই যেন বদলে গিয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে সেদিন বিভিন্ন জেলার অন্তত ৮০ জন জনপ্রতিনিধি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন ২০১৬-তে বামফ্রন্টের হয়ে জয়ী হওয়া দুই বিধায়কও। পরবর্তী সময়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন কাঁথির প্রাক্তন পুরপ্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারী। এদিকে বৃহস্পতিবার দলত্যাগ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি বলেছেন, সব দরজাই খোলা হয়েছে। তবে তিনি বেইমান কিংবা মীরজাফর নন। যা করবেন তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েই করবেন।
দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী, অমিতের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা, নতুন ফেসবুক পোস্ট ঘিরে চড়ছে পারদ