তৃণমূলের জয়জয়কার অব্যাহত শুভেন্দু-গড়ে! হেরেই চলেছে বিজেপি, সিপিএমও তথৈবচ
তৃণমূল কংগ্রেস জিতেই চলেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সিংহভাগ সমবায়ই তৃণমূলের দখলে থাকছে এবারও। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পর জেলায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল তৃণমূল।
তৃণমূল কংগ্রেস জিতেই চলেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সিংহভাগ সমবায়ই তৃণমূলের দখলে থাকছে এবারও। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পর জেলায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল তৃণমূল। নন্দীগ্রামের বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যন্ত হারতে হয়েছিল তৃণমূলকে। কিন্তু সেই হারের পর একের পর এক নির্বাচনে জিতেই চলেছে তৃণমূল।
সম্প্রতি নন্দীগ্রাম, কাঁথি, মহিষাদলের পকর হলদিয়ায় সমবায় সমিতি নির্বাচনেও তৃণমূল ধরাশায়ী করে ছেড়েছে বিরোধীদের। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে তৃণমূল সবুজ ঝড় তুলেছিল, তারপর হলদিয়াতেও সমবায় তৃণমূলের পকেটে। এবার কোলাঘাটেও বিপুল জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি বা সিপিএম।
কোলাঘাট ব্লকের দেউলিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি নির্বাচনে ১২টি আসনের মধ্যে সবকটি দখল করেছে তৃণমূল। ১২টি আসনেই এক্ষেত্রে ভোটাভুটি হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিলে সাতটি নির্বাচনে, আর সিপিএম প্রার্থী দিয়েছিল ৯টি আসনে। সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছিল। ফলাফল ঘোষণা হতেই স্পষ্ট হয়ে যায় তৃণমূলের জয়। শুরু হয়ে য়ায় আবির খেলা। সবুজ আবিরে মেখে উৎসবে মেতে ওঠেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
একদিন আগেই হলদিয়া ও পটাশপুর ব্লকে সমবায়ে বিরোধীশূন্য বোর্ড দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হলদিয়া ব্লকের বাঁশখানা সত্যনারায়ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের জবদা সমবায় সমিতির ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। বিরোধীরা কেউই প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। ফলে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় এই সমবায়ে।
এবার পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দকুমার মডেল প্রয়োগ করে তৃণমূলকে ঠেকাতে চেয়েছিল বিজেপি ও সিপিএম। কিন্তু নন্দকুমারে তা সফল হলেও অন্যত্র তা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় সমবায় সমিতিতে বিজেপি সেভাবে লড়াই দিতে পারেনি। নন্দকুমার ছাড়া নন্দীগ্রাম ও কাঁথিতে কতিপয় সমবায়ে জিতেছে বিজেপি। সিংহভাগই জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
বিজেপি ও সিপিএম এবার জোটবদ্ধ হয়ে সমবায়ের ভোট লড়াইয়ে নেমেছিল। নন্দকুমারে বাম-বিজেপি সফলও হয়। তৃণমূলকে উড়িয়ে দেয় তারা। এরপর নন্দকুমার মডেল ফলো করে বিরোধীরা একজোট হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষেত্রে লড়াই দেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু তারপর আর কোনও নির্বাচনেই তেমন সাফল্য পায়নি তারা।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে বাম-বিজেপি একসঙ্গে মিছিলও করেছে। তবু তারা আটকাতে পারেনি তৃণমূলকে। বিরোধীরা কলকে পায়নি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। যদিও বিজেপি মনে করছে, সমবায় তো কতিপয় সদস্যকে নিয়ে ভোট, পঞ্চায়েত ভোটে সমস্ত মানুষ ভোট দেবেন। পুরোপুরি বদলে যাবে চিত্র, এটাই বিশ্বাস বিজেপির।