পঞ্চায়েতের প্রচারে অভিনবত্ব এনেই চলেছে তৃণমূল, শুভেন্দু-গড়ে এবার শুরু বিচ-বৈঠক
পঞ্চায়েতের প্রচারে অভিনবত্ব এনেই চলেছে তৃণমূল, শুভেন্দু-গড়ে এবার শুরু বিচ-বৈঠক
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল প্রচারের নানা কৌশল প্রয়োগ করছে। অভিনব প্রচারে তৃণমূল জনসংযোগের চেষ্টা করছে। এর আগে চাটাই বৈঠক দিয়ে শুরু হয়েছিল শুভেন্দু-গড়ে তৃণমূলের প্রচার। এবার সেই শুভেন্দু-গড় পূর্ব মেদিনীপুরকেই বেছে নেওয়া হল 'বিচ বৈঠক'-এর ক্ষেত্র হিসেবে।
এবার বিচ বৈঠকে তৃণমূল
পঞ্চায়েত ভোটকে পাকির চোখ করে নন্দীগ্রামে চাটাই বৈঠক শুরু করেছিলেন তৃণমূলের জেলার দায়িত্বে থাকা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে নীচু স্তরের সংগঠনকে মজবুত করতে চাটাই বৈঠকে জোর দিয়েছিল তৃণমূল। এই প্রচারকে আরও মজবুত করতে এবার বিচ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রচার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুটি কর্মসূচি শুরু করেছেন বাংলায়। দিদির সুরক্ষা কবচ নামে একটি কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আর সেইসঙ্গে দিদির দূত অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এই দুটি কর্মসূচিকে সামনে রেখে তৃণমূল তাঁদের প্রচার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
জনসংযোগ বাড়াতে কর্মসূচি
একইসঙ্গে তৃণমূল প্রচারে অভিনবত্ব আনার চেষ্টাও করছে। সেইজন্য চাটাই বৈঠকের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বিচ বৈঠককে। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে শুরু হয়েছে এই প্রচার। পূ্র্ব মেদিনীপুরে প্রতুর মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। মূলত তাঁদের টার্গেট করেই এই বৈঠক। মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতেই এই বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তৃণমূল।
সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা প্রচার
তৃণমূল স্থির করেছে আগামী সপ্তাহ থেকেই এ কর্মসূচি শুরু করা হবে। এই কর্মসূচি চালানো হবে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই মর্মে জানিয়েছেন, এতদিন চাটাই বৈঠক চলছিল, এবার শুরু হবে বিচ বৈঠক। পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাতে এই ধরনের বৈঠক চলবে।
তৃণমূলস্তরে প্রচার তৃণমূলের
সমুদ্রে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের জন্যই মূলত এই কর্মসূচি। একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূল সরকারের পরিষেবার কথা বলবেন। বিচ বৈঠকে বেছে নেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর জেলাকে। তা নিয়ে আবার তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এর আগেও এ ধরনের ঘোষণা হয়েছিল, তৃণমূল নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা হয়েছিল, কেউ যায়নি। সিএম জাটুয়া রায়দিঘি গিয়ে বিজেপি-কর্মীর বাড়ি মাছ-ভাত খেয়ে এসেছিলেন। ওঁদের দলের কেউ ওঁকে খেয়ে দেয়নি। এইসব কর্মসূচি শুধু বাজার গরম করার জন্য। ওসবে কিস্যু হয় না। তৃণমূল অবশ্য সমালোচনায় কান না দিয়ে মৎস্যজীবীদের পরিষেবা প্রদানের বার্তা প্রচার নিয়েই ভাবছে।
ছবি সৌ:ফেসবুক
'দিদির দূত’ হয়ে 'ভূতে’রা বাড়ি বাড়ি আসবে, কর্মসূচি শুরুর আগেই পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ