ভোটের আগে ওসিকে সরানোর দাবি মেদিনীপুরে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী
প্রকাশ্যে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে বিধায়কের ওসি সরানোর মন্তব্য ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর দাসপুর ব্লকে।

বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষ্যে রবিবার আনুষ্ঠান ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ব্লকের চাঁইপাটে। তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির উপস্থিতিতেই দাসপুরের বিধায়িকা মমতা ভূঁইয়া প্রকাশ্যে দাসপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, 'এই ওসি থাকলে আগামী নির্বাচনের লড়াই অনেক কঠিন হবে। এই ওসির সাথে বিজেপি যোগ আছে, যদি ওসিকে শিগগিরই না বদলান তাহলে ২৪টি অঞ্চলের আমাদের কর্মীদের লড়াই খুব কঠিন হবে'। বিধায়কের এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিধায়কের ওসি সরানোর প্রকাশ্য মন্তব্যে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। বিধায়কের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করে। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ওঠেছে একজন বিধায়কের পক্ষে এমন মন্তব্য করা কতটা যুক্তিযুক্ত? স্থানীয়দের আরও মন্তব্য, দাসপুরের বর্তমান ওসি সুদীপ ঘোষাল যথেষ্ট সৎ এবং ভদ্র মানুষ।
নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আইনের শাসন কায়েম রাখার ফল কি এটাই পেলেন!
ঘটনায় অজিত বাবু জানিয়েছেন, 'এটা পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপার, এই ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবোনা। কারণ আমি দলীয় লোক, রাজনীতির লোক, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমি অহেতুক মন্তব্য করব না।'

তবে এ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে নিন্দার ঝড় তুলেছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, এটা তৃণমূলের কালচার! সারা রাজ্য জুড়ে চলছে এটা নতুন কিছু বিষয় নয়। যে সমস্ত আমলা, আইএস,বা পুলিশ অফিসার তারা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিষ্ঠার সঙ্গে বা নিরপেক্ষভাবে চালানোর চেষ্টা করে, তখনই তৃণমূলের রোষানলে পড়তে হয় সেই সব পুলিশ আধিকারিকদের। দাসপুরের তৃণমূল বিধায়িকা যেটা বলেছেন সেটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক! এটাই প্রমাণ করে তৃণমূল বিজেপিকে ভয় পেয়েছেন।
শুভেন্দু তৃণমূলেই থাকছেন! তাই কি তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন দাদার অনুগামীরা