শুভেন্দুর দলে থাকা আর না থাকা দুই সমান, প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিঁধলেন অখিল গিরি
শুভেন্দুর দলে থাকা আর না থাকা দুই সমান, প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিঁধলেন অখিল গিরি
শুভেন্দুর দলে থেকেই বা কী আর না থেকেই বা কী। শুভেন্দুর দলে থাকা আর না থাকা দুই সমান। কোনও কাজই সে করে না। পাল্টা আক্রমণে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অখিল গিরি। গত এক মাস ধরে অখিল গিরির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই আক্রমণে শান দিয়েছেন। তৃণমূলে শুভেন্দুর থাকা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রামনগরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী দলে থাকার কথা বললেও ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেছেন।
শুভেন্দুকে আক্রমণ অখিল গিরির
বারবরই অখিল গিরির সঙ্গে বিবাদ ছিল শুভেন্দুর। একই দলে থেকে প্রবল প্রতিপক্ষের মতোই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধিতা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার রামনগরের সভায় দলে থাকা নিয়ে একাধিক কথা বলেছেন তিনি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শুভেন্দুর মান ভঞ্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছ তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মাঝে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অখিল গিরি বলেছেন, শুভেন্দুর দলে থাকা আর না থাকা দুই সমান। কোনও কাজ তিনি করেন না। অনেক শুভেন্দু রয়েছেন দলে। দলনেত্রীই শেষ কথা।
শুভেন্দুর বার্তা
গতকাল রামনগরের সভা থেকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন শুভেন্দু অধিরাকারী। তিনি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তাড়িয়ে দেননি, 'আমিও ছেড়ে যাইনি। একই একটি রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক সদস্য। একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচিত প্রতিনিধি। মনোনিত হয়ে আসিনি।' শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পর তৃণমূলে জল্পনা আরও বেড়েছে।
বরফ গলাতে তৎপর তৃণমূল
শুভেন্দু দল ছাড়ছেন না একথা জানালেও দলের প্রতি তাঁর যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সেটা স্পষ্ট। বরফ গলাতে তাই ফের বৈঠকে বসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী সপ্তাহে ফের শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌগত রায়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা শুভেন্দুর। দলের নির্দেশেই এই কাজ বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
শুভেন্দু তরজা
এদিকে শুভেন্দুকে নিয়ে শাসক দলের এই সংকটকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি, কংগ্রেস, বামেরা। শুভেন্দু দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন জল মাপছেন শুভেন্দু। বামেরা আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পুরাতনীদের কোণঠাসা করে রেখেছেন।