শুভেন্দুর সঙ্গী সিপিএমের ‘হার্মাদ’রা! নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণের নৈতিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন কুণালের
নন্দীগ্রামে শহিদ শ্রদ্ধা স্মরণ অনুস্থানে উপস্থিত হয়ে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর শহিদ স্মরণের কোনও নৈতিক অধিকার নেই।
নন্দীগ্রামে শহিদ শ্রদ্ধা স্মরণ অনুস্থানে উপস্থিত হয়ে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর শহিদ স্মরণের কোনও নৈতিক অধিকার নেই। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর অভিযোগ আনেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত কুণাল ঘোষের
কুণাল ঘোষ সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তারপর থেকে তিনি নন্দীগ্রাম পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে চলেছেন। আর এই কাজ ব্রতী হয়ে তিনি নন্দীগ্রামকে নিয়ে নানাবিধ পরিকল্পনাও রচনা করে চলেছেন। এদিন নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ করে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন।
নৈতিক অধিকার নেই শুভেন্দু অধিকারীর
৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস। শনিবার ভোরে শহিদদের প্রতি অঞ্জলি দিতে তিনি হাজির হন শহিদ স্মৃতি বেদির কাছে। সেখানে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন কুণাল। কুণালের দাবি, শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর কোনও নৈতিক অধিকার নেই শুভেন্দু অধিকারীর।
সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরাই আজ শুভেন্দু সঙ্গী
কুণাল ঘোষ বলেন, নন্দীগ্রামের মানুষ জানে ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি কারা ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ওপর গুলি চালিয়েছিল। সেই নৃশংস হত্যার পিছনে যাঁরা দায়ী, আজ তাঁদেরকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তৎকালীন শাসকদল সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরাই আজ শুভেন্দু অধিকারীর সহযাত্রী। আর তাঁরাই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।
নন্দীগ্রামের ভাঙ্গাভেড়াতে শহিদ স্মরণ দিবস
কুণাল ঘোষের কথায়, যারাই ঘাতক তারা আজ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে, এটা সবথেকে বড় অপমানের। আর সেই অবমাননাকর জিনিস করছেন রাজ্যের বিরোদী দলনেতা শুভেন্দু অদিকারী। এদিন নন্দীগ্রামের ভাঙ্গাভেড়াতে শহিদ স্মরণ দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই মর্মে একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারীকে।
ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহিদ স্মরণ
কুণাল ঘোষ বলেন, আজকের দিনে নন্দীগ্রামের ভূমি আন্দোলন করতে গিয়ে ভরত মণ্ডল, শেখ সেলিম, বিশ্বজিৎ মাইতি ভোররাতে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাই আজকের দিনটিকে প্রতিবছর তৃণমূল কংগ্রেস ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহিদ স্মরণ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
শহিদ স্মৃতিতে প্রদীপ এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে তর্পণ
এ বছরও ভোর সাড়ে চারটের সময় শহিদ স্মৃতিতে প্রদীপ এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহিদ স্মরণ দিবস হিসেবে পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ছাড়াও মন্ত্রী অখিল গিরি, সুপ্রকাশ গিরি-সহ বিভিন্ন নেতৃত্ব এবং এলাকার কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। ভোর চারটের সময় উপস্থিত হয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁরা।
শোভন ফের শিরোনামে, বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় রত্নার আপত্তি উড়িয়ে সাক্ষ্য বৈশাখীর