মমতার সভায় ভয় দেখিয়ে লোক আনছে তৃণমূল! বিজেপির একের পর এক অভিযোগে সরগরম নন্দীগ্রাম
মমতার সভায় ভয় দেখিয়ে লোক আনছে তৃণমূল! বিজেপির একের পর এক অভিযোগে সরগরম নন্দীগ্রাম
শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) প্রথম সভা। তৃণমূলের কাছে এই সভা কার্যত ৮ জানুয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর সভার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। লোক সমাগম করতে তৃণমূল হুমকির আশ্রয় নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি (bjp)। যদিও তৃণমূলের তরফে এইসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সভায় বাইরে থেকে লোক আনার অভিযোগ
তেখালিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তৃণমূল বাইরে থেকে লোক আনছে। এদিন সকালেই এমনটাই অভিযোগ করেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই একই অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর সভার লোক ভরাতে বাইরের জেলা থেকে লোক আনা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর সভায় লোক সমাগম হয়েছিল বিস্তর। শুভেন্দু অধিকারী আগেই দাবি করেছিলেন, আশপাশের ব্লক থেকে অনন্ত ১ লক্ষ মানুষ সেখানে যাবেন। সেই মতো বহু লোক সেখানে জমায়েত করেছিলেন। তবে একটা সময়ে সভায় বিশৃঙ্খলাও দেখা দিয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন সভায় লোক সমাগত দেখে ঢিল ছুঁড়েছে তৃণমূল।
ভয় দেখিয়ে সভা ভরানোর অভিযোগ
এদিন সকাল থেকেই ভয় দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য লোক আনার অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে। তাদের অভিযোগ নন্দীগ্রামের সভায় না গেলে প্রধানমন্ত্রী আবাসা যোজনার টাকা দেওয়া হবে না, হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতিরা। পাশাপাশি তাদের আরও অভিযোগ অটো, টোটা ট্রেকার মালিকদের সভায় যেতেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। না গেলে রুটে গাড়ি চালাতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও নন্দীগ্রামের মাঠ ভরাতে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চাপ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
৫ বছর পর নন্দীগ্রামে মমতা
২০১৫ সালে শেষবারের জন্য নন্দীগ্রামে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে আর নন্দীগ্রামে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় সবটাই সামলে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু গতবছরের অক্টোবর ও নভেম্বর এলাকায় একাধিক সভা করার পর ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে এটা নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম সভা।
প্রথমবারের জন্য নেই অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্য
প্রথমবারের জন্য এদিন নন্দীগ্রামের সভায় নেই অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্য। তেখালির সভায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে আগেই জানিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। তিনি এবং দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও পর্যন্ত তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেননি। তবে শিশির অধিকারীকে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পাশাপাশি জেলা সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগরা, তমলুক-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগঠন ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারী অনুগতদের সরানো হচ্ছে।
পাঁচ বছর পরে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী! সভার আগে মমতার নামে গোব্যাক পোস্টারে উত্তেজনা