খাটে উঠেছে তৃণমূল, হরিবোল ছাড়া গতি নেই! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
খাটে উঠেছে তৃণমূল, হরিবোল ছাড়া গতি নেই! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
ফের একবার তৃণমূল (trinamool congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) বিরুদ্ধে স্লোগান চুরির অভিযোগ তুললেন বিজেপির (bjp) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। এদিন তিনি ঝাড়গ্রামের সভা থেকে বলেন, তৃণমূল তার শেষ সময়ে এসে উপস্থিত হয়েছে।
পুরশুড়ার সভায় মমতার স্লোগান
২৫ জানুয়ারি হুগলির পুরশুড়ায় সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগান তোলেন, হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে। ওইদিনই তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, লাল চুল, কানে দুল পরে কেউ এলে হাতা খুন্তি দিয়ে ধুয়ে দেবেন।
শুভেন্দু আগেই এই স্লোগানের ব্যবহার করেছেন
প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য
শুভেন্দু
অধিকারী
আগেই
এইসব
স্লোগান
ব্যবহার
করেছেন।
১৯
ডিসেম্বর
বিজেপিতে
যোগ
দেওয়ার
পরে
কাঁথিতে
রোড
শো
করেছিলেন
শুভেন্দু
অধিকারী।
সেই
রোড
শএা
থেকে
তিনি
বলেন,
কৃষ্ণ
কৃষ্ণ
হরে
হরে,
বিজেপি
ঘরে
ঘরে।
তিনি
বলেছিলেন
প্রেমের
ঠাকুর
চৈতন্যদেবকে
স্মরণ
করতেই
তাঁর
এই
স্লোগান।
পরে
শুভেন্দু
অধিকারীই
জানিয়েছিলেন
বিজেপির
রাজ্য
কমিটি
এই
স্লোগানের
অনুমতি
দিয়েছে।
এছাড়াও
শুভেন্দু
অধিকারী
১৯
ডিসেম্বর
বিজেপিতে
যোগ
দেওয়ার
দিন
থেকেই
নিশানা
করেছিলেন
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ভাইপো
তোলাবাজ
বলে
তাঁকে
আক্রমণ
করেছিলেন।
পাশাপাশি
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়
সাংসদ
ছাড়াও
দলের
তরফে
যুব
তৃণমূলের
দায়িত্বে
রয়েছেন।
সেই
যুব
তৃণমূলকে
আক্রমণ
করতে
গিয়ে
শুভেন্দু
অধিকারী
বলেছিলেন,
লাল
চুল,
কানে
দুল,
তার
নাম
যুব
তৃণমূল।
যুব
তৃণমূল
নেতাদের
চালচলনেরও
কটাক্ষ
করেছিলেন
তিনি।
শুভেন্দু
অধিকারী
বলেছিলেন,
পায়ে
আট
হাজার
টাকার
জুতো,
হাতে
দুটো
আইফোন।
হাতে
সোনার
মাকরি,
১০
আঙুলে
১৮
টা
সোনার
আংটি
আর
গলায়
গরুর
দড়ির
মতো
সোনার
চেন।
এখানেই
শেষ
নয়,
চোখে
তাদের
বিজেশি
সানগ্লাস
এবং
সঙ্গে
রয়েছে
ফরচুনা
গাড়ি।
এবার স্লোগান হরি বোল, হরি বোল
এদিন ঝাড়গ্রামের সভা থেকে ফের একবার তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপির স্লোগান চুরির অভিযোগ আনেন। তিনি বিশেষ করে কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে-এই স্লোগানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের শ্মশানে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। এবার তাদের স্লোগান হবে হরি বোল, হরি বোল।
জঙ্গলমহল ২০২১-এর জন্য অপেক্ষা করছে
এদিন ঝাড়গ্রামের সভা থেকে ফের একবার ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে জোর করে হারানোর অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে মেদিনীপুর এবং বিষ্ণুপুরের মানুষ বিজেপির দুই প্রার্থীকে জয়ী করেছেন। এই দুই কেন্দ্রের একাধিক বিধানসভা জঙ্গলমহলের অন্তর্গত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি জঙ্গলমহলকে হাতের তালুতে চেনেন। জঙ্গলমহলের মানুষ ২০২১-এর জন্য অপেক্ষা করছে বলেও দাবি করেন এই বিজেপি নেতা।
মমতার দাবি নিয়ে কটাক্ষ
এদিন শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অলচিকি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি নিয়েও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী সাঁওতালিদের অলচিকি ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়ে অষ্টম তপশিলির অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যে অলচিকি ভাষা পড়ানোর কথা বলা হচ্ছে, তার কি কোনও সিলেবাস আছে, এই বিষয়ে কি কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে? সমবেত জনগণ সবেরই উত্তর না বলে জানিয়ে দেন।
সৌরভকে নিয়ে অমিত শাহর ফোন কৈলাসকে! কী জানতে চাইলেন 'চাণক্য'