শুভেন্দুর অনুগামীদের ওপর হামলা, উত্তাপ নন্দীগ্রামে
শুভেন্দুর অনুগামীদের ওপর হামলা, উত্তাপ নন্দীগ্রামে
সভায় যাওয়ার সময় আক্রান্ত শুভেন্দুর অনুগামীরা। অভিযোগের তির তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবারই নন্দীগ্রামের মাটিতে পা রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সভায় যাওয়ার সময় শুভেন্দুর অনুগামীদের গাড়িতে আক্রমণ চালানো হয় বলে অভিযোগ। জানি এই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম।
বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের অন্তত ১০ জন কর্মীকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে নন্দীগ্রাম হাসপাতাল ও খেজুরি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। আরও অভিযোগ, তাঁদের কয়েক জন কর্মীর এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ঘটনার প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই হামলা নিয়ে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, 'আমি শুনলাম আমাদের ১০ জনকে মেরেছে। তাঁদের অনেকের আঘাতই গুরুতর। যারা এসব করছে তাদের বলে দিচ্ছি, এর ফল কিন্তু ভুগতে হবে।' শুধু তাই নয়, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও সমালোচনা করেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা।
তিনি বলেন, 'আমি পুলিশকে বলব, নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করুন। সময় কিন্তু বদলাচ্ছে।' গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, সোনাচূড়া ও গোকুলনগর এলাকা থেকে কয়েকটি গাড়িতে বিজেপি কর্মীরা শুভেন্দুর অরাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তখন নন্দীগ্রাম বাজারের কাছে ভূতার মোড়ে তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতে।
তাঁর দাবি, 'হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে৷' পাশাপাশি, বিজেপি নেতা বলেন, 'এই আক্রমণ আমরা মেনে নেব না৷ হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে৷ তা না হলে মানুষকে নিয়ে কীভাবে আন্দোলন করতে হয়, আমার জানা আছে৷ আমাদের দুর্বল ভাবলে ভুল করবে৷' শুভেন্দুর এই হুঁশিয়ারির পরই নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও করেন বিজেপি সমর্থকরা৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷
হাওড়ায় শিবপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা