চকোলেট-স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশনের নামে নাটক! শিকড় অনেক গভীরে, নন্দীগ্রাম থেকে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
চকোলেট-স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশনের নামে নাটক! শিকড় অনেক গভীরে, নন্দীগ্রাম থেকে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
অপারেশন সূর্যোদয়ের বার্ষিকী পালনে নন্দীগ্রামে (Nandigram) গিয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) তাড়ানোর ডাক দিয়েছিলেন। কিছু পরেই একই জায়গায় শুভেন্দু অধিকারী বললেন, শিকড় অনেক গভীরে। উপড়ানো মুশকিল। পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির (BJP) পতাকা উড়বে বলে দাবি করে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ করেন।
শিকড় গভীরে
নন্দীগ্রাম
দিবসে
কিছু
সময়
আগে
প্রায়
একই
জায়গায়
দাঁড়িয়ে
তৃণমূল
নেতা
কুণাল
ঘোষ
নন্দীগ্রামের
বিধায়ককে
উদ্দেশ্য
করে
বলেছিলেন,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
সওদের
এত
দিল,
তার
পরেই
পিছন
থেকে
ছুরি
মারল
গদ্দার
শুভেন্দু।
এছাড়াও
নন্দীগ্রামের
বিজেপি
বিধায়ক
তথা
রাজ্যের
বিরোধী
দলনেতা
শুভেন্দু
অধিকারীকে
তিনি
অকৃতজ্ঞ,
বেইমান
বলে
আক্রমণ
করে
সেখান
থেকে
অধিকারী
পরিবারের
মেজ
ছেলেকে
তাড়ানোর
আহ্বান
জানান।
এর
পাল্টা
বলতে
গিয়ে
শুভেন্দু
অধিকারী
কুণাল
ঘোষকে
কটাক্ষ
করেন।
পাল্টা
চ্যালেঞ্জ
নিয়ে
তিনি
বলেন,
শিকড়
অনেক
গভীরে,
উপড়ানো
মুশকিল।
১৫ মার্চ নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলেন তিনিই
শহিদ বেদিতে মালা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০০৭-এর নন্দীগ্রামের ঘটনার পর ১৫ অগাস্ট তিনি বিকেলে নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলেন। অন্য আর কেউ নয়। তিনি বলেন, সিপিএম-এর সূর্য যখন মধ্য গণনে সেই সময় তিনি তমলুক থেকে ছোট মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ শেঠকে একলক্ষ তিয়াত্তর হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন। আর তৃণমূলের সূর্য যখন মধ্যগণনে সেই সময় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন নন্দীগ্রাম থেকে।
মমতা নয় নন্দীগ্রামের রাস্তা পরিষ্কার করেছিলেন আডবানী
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, প্রথম ইউপিএ সরকারের বিরোধী দলনেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী নন্দীগ্রামে না এলে কেউ ঢুকতে পারত না। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ তাঁর সঙ্গে থাকা এসপিজি রাস্তা পরিষ্কার করতে করতে নন্দীগ্রামে ঢোকে। সেই দলে ছিলেন সুষমা স্বরাজ এবং বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তাঁরা হেঁড়িয়া দিয়ে নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলেন। তিনি বলেন, ১৭ মার্চের সেই দিনের দলে যে তিনজন তৃণমূল নেতা ছিলেন, তাঁরা হলেন, শিশির অধিকারী, বর্তমানে বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদী এবং তিনি নিজে।
চকোলেট, স্যান্ডউইচ খেয়ে নাটক
সিঙ্গুর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬ দিনের অনশন করেছিলেন। এদিন সেই কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সেই সময় অনশনের নামে চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে নাটক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ফলের রস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করেছিলেন যিনি তিনি হলেন রাজনাথ সিং। শুভেন্দু অধিকারী এদিন সংবাদ মাধ্যমের একাংশকে আক্রমণ করেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় এক সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন, সিঙ্গুর থেকে নজর ঘোরাতেই নন্দীগ্রাম তৈরি করা হয়েছে।
দলের কর্মীদের আশ্বস্ত করলেন শুভেন্দু
এদিন শুভেন্দু অধিকারী দলের কর্মীদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে নন্দীগ্রামে বিজেপির কর্মীদের বিরুদ্ধে বহু মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সেবিষয়ে তিনি অবগত। পুলিশে করা অভিযোগে সার্টিফায়েড কপি তিনি তুলেছেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, এক থাকবেন, ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আগেও জিতেছেন, ভবিষ্যতেও জিতবেন। কেস নিয়ে চিন্তা না করার জন্য বলেছেন তিনি।
Recommended Video