শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের সভা প্রায় ‘ভণ্ডুল’! একুশের নির্বাচনের আগে এ কীসের ইঙ্গিত
শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের সভা প্রায় ‘ভণ্ডুল’! একুশের নির্বাচনের আগে এ কীসের ইঙ্গিত
প্রাক্তন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেক্কা দিতে বর্তমানে তাঁর নেতা দিলীপ ঘোষকে নিয়ে নন্দীগ্রামে জনসভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও। নিজ-গড়ে সেই সভাতেও বিড়ম্বনায় পড়তে হল শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বিপুল জনসমাগম হলেও সভা প্রায় 'ভণ্ডুল' হতে বসেছিল তাঁর।
প্রায় পণ্ড হয়ে যাওয়ার জোগাড় শুভেন্দুর সভা!
মুকুল রায়ের পর তখন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বক্তব্য রাখছেন। বারবার একটা বিশৃঙ্খলা হচ্ছিল সভাস্থলে। বারবারই বক্তৃতা থামিয়ে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের শান্ত হওয়ার বার্তা দিতে হচ্ছিল। ফের উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হইহুল্লোড় পড়ে যায়। সভা প্রায় পণ্ড হয়ে যাওয়ার জোগাড়। বাধ্য হয়েই শুভেন্দুকে মাইক্রোফোনে দিতে হয় বার্তা।
শুভেন্দু অধিকারী বলছি। আমাকে বিশ্বাস করেন তো?
সভাস্থলে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের একাংশ তখন উঠে পড়েছেন। সভাস্থল ছাড়তে শুরু করেছেন। তখন শুভেন্দু মাইক্রোফোন হাতে বলে ওঠেন, আমি শুভেন্দু অধিকারী বলছি। আমাকে বিশ্বাস করেন তো? তাহলে বসে পড়ুন। ততক্ষণে অনেকে চলে গিয়েছেন। অনেকে আবার বসেও পড়েন প্রিয় শুভেন্দুর আবেদনে।
ঢিল মেরে প্ররোচনা দিয়ে নন্দীগ্রামের সভা ভণ্ডুলের চেষ্টা!
এরপর দিলীপ ঘোষ বলেন, সভা ভণ্ডুল করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। নন্দীগ্রামে বিজেপির সভায় এত ভিড় দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। তারই জেরে এই সভা ভণ্ডুলের চেষ্টা করা হয় বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন দিলীপবাবু। আর শুভেন্দু বলেন, ঢিল মেরে প্ররোচনা দিয়ে এই সভা ভণ্ডুলের চেষ্টা করা হয়েছে।
নন্দীগ্রামে সভার মাঝপথেই ফেরার পালা ‘সভ্য-সমর্থক’দের!
কিন্তু কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র বক্তব্যের মাঝে সভা ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার পরিস্থতি তৈরি হওয়া এবং তারপর মাইক্রোফোন হাতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বক্তব্য রাখার অনুরোধ জানিয়ে নিজে ধন্যবাদজ্ঞাপন করে সভা শেষ করার বার্তা দেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক মহল অন্য কারণ খুঁজছে। তবে কি সভা ভেঙে আগেই ফিরে যেতে শুরু করেছেন সদস্য-সমর্থকরা।
নন্দীগ্রাম শুভেন্দুকে চাইলেও বিজেপিকে চাইছে না! বার্তা
নন্দীগ্রামের সভায় শুভেন্দু ভিড় টানতে সমর্থ হলেও, তাদের ধরে রাখতে কেন ব্যর্থ হলেন। সভার মাঝপথে এই বিশৃঙ্খলা ও সভ্য-সমর্থকদের ফিরে যাওয়ার পিছনে রাজনৈতিক মহল মনে করছে অন্য সমীকরণ রয়েছে। আর তা হল- নন্দীগ্রাম শুভেন্দুকে চাইলেও বিজেপিকে চাইছে না। তাই শুভেন্দুর ডাকে এলেও বিজেপির কথা তাঁরা শুনতে চায় না।
বাংলায় ২৭ আসনের ঘাটতি মেটাতে 'তুরুপের তাস’ মিম! একুশের অঙ্কে বিজেপি