একুশের ভোটে অবিভক্ত মেদিনীপুরে ৩৫-০ করবেন, সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
একুশের ভোটে ৩৫-০ করার চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর, কী হতে চলেছে মেদিনীপুরের সমীকরণ
একুশের ভোটে অবিভক্ত মেদিনীপুর ৩৫-০ হবে। রং বদলের পর কাঁথির সভা থেকে হুঙ্কার ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি আর দিলীপ ঘোষ যখন হাত মিলিয়েছেন তখন মেদিনীপুের তৃণমূলকে শূন্য করতে বেশি বেগ পেতে হবে না হুঙ্কার দিেয়ছেন শুভেন্দু অধিকারী। ১৯৯৮-এ তৃণমূল দ্বিতীয় হয়েছিল এবারও দ্বিতীয় হবে। কেবল অধিকারী পরিবারই তৃণমূলকে মেদিনীপুরে এক নম্বরে এনেছিল সেটা বুঝিয়ে দিতে আর সময় ব্যয় করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মেদিনীপুরে শূন্য হবে তৃণমূল
কাঁথির সভায় বিপুল জনসমর্থনে নিজের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। এতোটাই ভিড় হয়েছিল যে রোড শো সভা স্থল পর্যন্ত পৌঁছতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে যায়। দ্বিগুণ উত্তেজনায় এক প্রকার স্নায়ুযুদ্ধ জয় ঘোষণা করেই শুভেন্দু কাঁথির সভা থেকে ঘোষণা করেছেন একুশের ভোটে অবিভক্ত মেদিনীপুরে শূন্য হবে তৃণমূল। তিনি আর দিলীপ ঘোষ মিলে ৩৫-এ ৩৫ আসন বিজেপির দখলে আনবেন।
কী পরিস্থিতি মেদিনীপুরে
দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম মিলিয়ে ৩৫টি বিধান সভা কেন্দ্র রয়েছে। তারমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে ১৬টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে ১৫িট এবং ঝাড়গ্রামে রয়েছে ৪টি বিধানসভা কেন্দ্র। লোকসভা ভোটে মেদিনীপুরে বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট বাড়িয়েছে বিজেপি। ঝাড়গ্রামের অবস্থাও তেমন ভাল নয়। ঝাড়গ্রাম হাতে রাখতে ছত্রধর মাহাতোকে রাজ্য কমিটিতে নিয়ে এসেছেন মমতা। মেদিনীপুরের সভার মঞ্চে অধিকারী পরিবারের জায়গায় ছত্রধরকে গুরুত্ব দিয়েছেন দলনেত্রী।
এবার দ্বিতীয় হবে তৃণমূল
শুভেন্দু অধিকারী কাঁথির সভা থেকে হুঙ্কার দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন মেদিনীপুরে যদি জয় পেয়ে থাকে তাহলে এই অধিকারী পরিবারের জন্যই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৯৯৮-এ দ্বিতীয় হয়েছিল তৃণমূল। অধিকারী পরিবারই ময়দানে নেমে জিতিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের সাফল্য তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন সেটা। আর সেটা প্রমাণ করতে এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে দ্বিতীয় করার লড়াইয়ে নামবেন বলে হুঙ্কার দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূলের পায়ে শুভেন্দু কাঁটা
তৃণমূলের পায়ে শুভেন্দু কাঁটা ফুটেছে। সেকারণেই এতো লম্ফঝম্ফ করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। যত তাঁকে আক্রমণ করা হবে তত তৃণমূল কংগ্রেস মেদিনীপুরে জমি হারাবে বলে মমতাকে সতর্ক করেছেন শুভেন্দু। বারবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের কাঁথিতে পাঠিয়ে তাঁকে আটকে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তিনি আটকে থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বিধানসভার প্রচার শুরু করে গিয়েছেন তিনি। এই কাঁথির সভা থেকেই সেই বিধানসভার প্রচারের সূচণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের সরব! ভোটের আগে অস্বস্তি বাড়ালেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই