পরিস্থিতির বদল হবেই! রাতের ঘুম কাড়াদের শান্তিতে ঘুমোতে দেবো না, দীর্ঘ পদযাত্রার পরে হুঁশিয়ারি সুশান্তের
পরিস্থিতির বদল হবেই! রাতের ঘুম কাড়াদের শান্তিতে ঘুমোতে দেবো না, দীর্ঘ পদযাত্রার পরে হুঁশিয়ারি সুশান্তের
প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) জেলা সম্পাদক, তারপর রাজ্য কমিটির সদস্য। এভাবেই রাজ্যে ফের সক্রিয় রাজনীতির মুখ হয়ে উঠছেন সিপিআইএম (CPIM)-এর সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)। এদিন তিনি দীর্ধ পদযাত্রায় অংশ নেন। সঙ্গে ছিল তিনদিন আগে রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পরে মহঃ সেলিমের দেওয়া সেই হুঁশিয়ারি, যাঁরা আমাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তাঁদের শান্তিতে ঘুমোতে দেব না।
সবং-এর বুড়ালে লাল ঝাণ্ডা নিয়ে মিছিল
পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর বুড়ালে এদিন দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করে সিপিআইএম। একেবারে সামনে থেকে সেই মিছিলেন নেতৃত্ব দেন জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। সবং ব্লক এলাকার সবং বাজার থেকে বুড়াল বাজার পর্যন্ত ৯ কিমি মিছিল হয় ধর্মঘটের সমর্থনে। জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ ছাড়াও ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য গীতা হাঁসদা, জেলার নেতা গোপাল প্রামাণিক সহ অন্যরা।
সুশান্ত ঘোষের হুঁশিয়ারি
মিছিলের সামনে ব্যানারে লেখা ছিল জনগণকে বাঁচাও, দেশ বাঁচাও। এই মিছিল থেকেই সুশান্ত ঘোষ হুঁশিয়ারি দেন , যাঁরা আমাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন, তাঁদের শান্তিতে ঘুমোতে দেব না। প্রসঙ্গত এই একই কথা বলেছিলেন নতুন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। তিন দিন আগে তিনি বলেছিলেন যে দুটি দল বাংলার মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন, তাঁদের শান্তিতে ঘুমোতে দেবেন না তাঁরা। দলের কর্মী সমর্থকদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। মহঃ সেলিমের পরে সুশান্ত ঘোষের একই ধরনের বার্তায় অনেকেই মনে করছেন সিপিআইএম আস্তে আস্তে জঙ্গি আন্দোলনের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে।
ঘুরে দাঁড়ানোর ডাক
মিছিলের পরে এদিন সুশান্ত ঘোষ বলেন, মানুষকে বেশিদিন বোকা বানিয়ে রাখা যাবে না। পরিস্থিতির বদল তাঁরা ঘটাবেনই, চ্যালেঞ্জ নেন তিনি। সুশান্ত ঘোষ বলেন, তাঁরা যে ঘুরে দাঁড়াবেন, তার ইঙ্গিত মানুষই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আনিস খানের হত্যার বিরুদ্ধেই হোক কিংবা দেউচা পাচামি কয়লা খনির বিরুদ্ধে আন্দোলন, কিংবা কৃষি জমি কেড়ে নিয়ে মাছের ভেরি তৈরি সবেই মানুষ পথে নেমেছেন। এই থেকেই পরিষ্কার মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে।
কৃষকদের পাশে সুশান্ত ঘোষ
সবং-এর রামভদ্রপুরে চাষের জমি দখল করে ভেরি তৈরির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে। এদিন সেখানকার কৃষক পরিবারের সদস্যরা সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে দেখা করে প্রতিকার দাবি করেন। শুধু এদিনই নয়, দিন কয়েক আগে সুশান্ত ঘোষ গড়বেতা দু নম্বর ব্লকের মাকলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষীদের সঙ্গে মাঠে গিয়েও কথা বলেন। শিলা বৃষ্টির জেরে সেখানে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অভিযোগ জানানোর পরেও সরকারি আধিকারিকরা এব্যাপারে নীরব বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় চাষীরা।
২০২৪-এর আগে মোদী বিরোধী মুখ কে হবেন, মমতার সমকক্ষ হয়ে উঠছেন অনেকেই