নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা পুলিশের, মমতার রাজনৈতিক খেলা বলছে বিজেপি
নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা পুলিশের, মমতার রাজনৈতিক খেলা বলছে বিজেপি
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রীর দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্য ছিল অবমাননাকর। এই ঘটনার মাঝে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আবার হানা দেয় নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা মেঘনাথ পালের বাড়িতে। শনিবার বেশি রাতে এই হানা দেয় পুলিশবাহিনী।
হানার কারণ?
এই যে হানা তা করা হয়েছে ১০ নভেম্বরের নন্দীগ্রামেই ঘটে যাওয়া এক ঘটনার জন্য। অভিযোগ ছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক মিটিংয়ের জন্য একটি স্টেজ বানিয়েছিল। তা ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার জন্য অভিযোগ ওঠে বিজেপি র দিকে। অভিযোগ ছিল যে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় স্টেজে। সবকিছু কান্ড ঘটিয়েছিল বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের।
অভিযোগ কার দিকে?
এই ঘটনার অন্যতম হোতা ছিলেন মেঘনাথ পাল। সেই জন্যই তার বাড়িতে গভীর রাতে হানা দেয় পুলিশ। তাকে পাকড়াও করতেই এই আচমকা হানা দেয় পুলিশ। এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী সহন ২১ বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে।
বিজেপির অসন্তোষ
এদিকে এই যে পুলিশি হানা তার জন্য বিজেপি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এর জন্য তাঁরা আঙুল তুলেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তাঁরা বলছে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করানো হয়েছে এবং সেই কাজ করিয়েছেন বাংলার পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।।
কী বলছে পদ্ম শিবির?
নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা অভিজিৎ মাইতি বলছেন যে, "তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনে কাজ করছে পুলিশ। তারা এখন দল দাসে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস যা বলবে তারা তাই করবে। এই যে এফআইআর এবং রাতের বেলা হানা তাও হয়েছে এভাবেই। তৃণমূল বলছে সঙ্গে সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ। আমাদের নেতাকে অপদস্থ করার জন্য এই কাজ হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কুকথা বলার জন্য রাজ্যের করা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে দিল্লির থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি সরাসরিম। এই ঘটনা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এই যে কেন অখিল গিরিকে এখনো বরখাস্ত করা হল না তা নিয়ে।
এই বিষয় নিয়ে অখিল গিরিকে জাতীয় মহিলা কমিশন আগেই নোটিশ দেয়। ওই মন্তব্যের জন্য আগে থেকেই কার্যত চাপে ছিলেন অখিল গিরি। তার মাঝে হস্তক্ষেপ করে জাতীয় মহিলা কমিশন। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি দেন সৌমিত্র খাঁ। রাজ্যের মন্ত্রীর ভিডিও সামনে আসতেই তিনি এই কাজ করেন।
আর এরপরেই মহিলা কমিশনও রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রীকে নোটিশ ধরায়। এই নিয়ে অস্বস্তিতে আছে শাসকদল। যদিও তৃণমূল এই বিষয়ে কার্যত হাত তুলে নিয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলাতে এফআইআর করেছে বিজেপি। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে মন্ত্রী।
প্রতীকী ছবি
সভাপতি নির্বাচনে থারুরকে ভোট দেওয়া কংগ্রেস নেতারা বিজেপিতে যোগ দেবেন, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী