ফোনে আড়ি পাতা সহ হুমকি! একাধিক ধারায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা পুলিশের
জেলা জুড়ে বিজেপি (bjp) কর্মীদের ওপরে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ। পুলিশের কাছে গেলেও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়ার অভিযোগে এবার পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার (sp) এবং
জেলা জুড়ে বিজেপিকর্মীদের ওপরে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ। পুলিশের কাছে গেলেও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়ার অভিযোগে এবার পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার এবং অন্য পুলিশ আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই বিপাকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার তমলুক থানাতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত এই মামলা করা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশকে হুমকি, কাজে বাধা, পুলিশের ফোনে আড়ি পাতা সহ একাধিক ধারাতে এই মামলা রুজু করা হয়েছে।
এছাড়াও করোনাকে বিধিকে উপেক্ষা করে জমায়েত করার জন্য বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত করবে পুলিশ। প্রয়োজনে বিরোধী দলনেতাকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা এবং পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাও অভিযানে ডাক দেয় বিজেপি। সেখানেই যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সভা থেকে কার্যত পুলিশকে একের পর এক হুমকি দেন শুভেন্দু। দলের সভা থেকে জেলার পুলিশ সুপারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জেলায় একটা বাচ্চা ছেলে এসেছে। মিস্টার অমরনাথ কে।
তিনি বলেন, পুলিশ সুপার কী করছেন, কাকে কাকে ডাকছেন তিনি (শুভেন্দু) সব জানেন। কেননা তিনি দীর্ধদিনের খেলোয়াড়। বিরোধী দলনেতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পুলিশ সুপার সেন্ট্রাল ক্যাডারের অফিসার। তিনি যেন এমন কাজ না করেন কাশ্মীরের অনন্তনাগে ডিউটি করতে না হয়।
শুধু এসপিকেই নয়, জেলার বাকি পুলিশ আধিকারিকদেরও নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ অফিসারদের নাম ধরে ধরে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি সিবিআই তদন্তেরও হুঁশিয়ারি দেন। তিনি জানিয়ে দেন, প্রত্যেকটা ফোনের কল রেকর্ড তাদের কাছে রয়েছে।
আর এই হুমকির পরেই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা পুলিশের। পুলিশ সূত্রের খবর, এসপি সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পুলিশের সমস্ত কথাবার্তা তিনি জানতে পারেন বলে শুভেন্দু মন্তব্য করেছেন।
পুলিশের অনুমান, ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। আর সেই অভিযোগেও মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে করনা বিধি অনুযায়ী কোনও জমায়েত করা যাবে না। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বহু লোককে নিয়ে মিতিং করেছেন শুভেন্দু। আর সে কারণে বিপর্যয় আইন দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় জেলাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রাক্তন দেহরক্ষী খুনের মামলাতে কয়েকদফায় শান্তিকুঞ্জে গিয়েছে সিআইডি। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আর এর মধ্যেই আরও একগুচ্ছ মামলাতে নাম জড়াল শুভেন্দু অধিকারীর।