বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নন্দীগ্রাম, মৃত্যু এক শিশুর, হাসপাতালে আশঙ্কা জনক অবস্থায় আরও এক শিশু
বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নন্দীগ্রাম, মৃত্যু এক শিশুর, হাসপাতালে আশঙ্কা জনক অবস্থায় আরও এক শিশু
বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নন্দীগ্রাম। বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়েই এই বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবারেই বিস্ফোরণে মারা গিয়েছে এক শিশু। আহত আরও দুই শিশু ভর্তি হাসপাতালে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর-১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার জাদুবাড়ি চকে ঘটনাটি। গ্রামেরই একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে খেলা করছিল তিন শিশু। সেখানেই বল েভবে গোলাকার একটি বস্তু নিয়ে খেলা শুরু করে তারা। খেলতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে। তীব্র শব্দে ছুটে আসেন আশপাশের বাড়ির লোকেরা। বিস্ফোরণের জেরে তখন ছটফট করছে তিন শিশু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যায় ৯ থেকে ১০ বছর বয়সী এক বালিকা। তার নাম জাহিরুন খাতুন।
আহত আরও ২ শিশুর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুই জনেরই মাথায় আঘাত লেগেছে। আশঙ্কাজনক শিশুটিকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাতে এবং পায়েও আঘাত রয়েছে। অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে শিশুটিকে। ঘটনায় রীিতমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা। পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে কীভাবে বোমা এল তা নিয়ে আতঙ্কিত আশপাশের বাড়ির লোকেরা।
জানা গিয়েছে পরিত্যক্ত বাড়িটি জাকির শা নামে এক ব্যক্তির। গ্রামের প্রধান সোয়েব গাজি জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। পাড়ার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সেখানে খেলাধুলা করে। বাড়ির মালিক দীর্ঘদিন না থাকার কারনেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন তাঁরা। কোনও দুষ্কৃতি ফাঁকা বাড়ি বেবে বোমা রেখে গিয়েছিল। সেটা নিয়ে শিশুরা খেলতে শুরু করে। বল ভেবে খেলতে গিয়েই মাটিতে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান। পূর্বমেদিনীপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে বোমা সেখানে এল তার তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।