দুই বড় মামলায় অভিযুক্ত! তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতকে হেফাজতে নিতে আদালতে এনআইএ
তৃণমূলের (trinamool congress) রাজ্য কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতকে (chatradhar mahato) হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (nia)। এব্যাপারে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তারা। যা নিয়ে তাদের হলফনামা পেশ ক
তৃণমূলের (trinamool congress) রাজ্য কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতকে (chatradhar mahato) হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (nia)। এব্যাপারে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তারা। যা নিয়ে তাদের হলফনামা পেশ করতে সময় দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ জানুয়ারি।
মোদী রাজ্যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! একের পর এক শ্রমিককে পিষে দিল ট্রাক
দুটি বড় মামলায় অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাত
দুটি বড় মামলায় অভিযুক্ত জঙ্গলমহলের তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাত। এর একটি হল ২০০৯ সালের ১৪ জুন ধরমপুরে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাত খুনের ঘটনা এবং অপরটি হল দিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস ছিনতাইয়ের ঘটনা। এনআইএ-র অভিযোগ, সিপিএম নেতা খুন এবং রাজধানী এক্সপ্রেস পণবন্দী করার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন ছত্রধর মাহাত।
ছত্রধর মাহাতকে নিয়ে তৎপর এনআইএ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মাওবাদী সমর্থিত জনসাধারণের কমিটির তৎকালীন নেতা ছত্রধর মাহাত। এরপরেই লকডাউনের মধ্যে ৩০ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ওপরে উল্লিখিক দুটি মামলায় ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপরেই তৎপর হয়ে ওঠে এনআইএ। গত অগাস্টের ২৫ ও ২৬ তারিখ নাগাদ ছত্রধর মাহাতকে ঝাড়গ্রামের শালবনিতে সিআরপিএফ-এর কোবরা ক্যাম্পে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ইউএপিএতে দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন ছত্রধর
দীর্ঘদিন পুলিশের চোখে ধুলো দিলেও, ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকে ছদ্মবেশে ছত্রধর মাহাতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপর থেকে গতবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলবন্দি ছিলেন ছত্রধর। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা করা হয়েছিল। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ছত্রধর। যদিও আদালতের তরফে ছত্রধর মাহাতকে সেই সময় রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।
করোনা আক্রান্ত হওয়ায় হাজিরা এড়িয়ে ছিলেন ছত্রধর
গত সেপ্টেম্বর একাধিকবার ছত্রধর মাহাতকে তলব করেছিল এনআইএ। কিন্তু তিনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর আইনজীবী কৌশির সিনহা জানিয়েছিলেন, স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শে ১৪ দিনের হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ছত্রধর। যার জেরে এনআইএ আদালতের তরফে তাঁকে ১৪ দিনের সময়ও দেওয়া হয়।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের পদ ছত্রধরকে
গত জুলাইয়ে ছত্রধর মাহাতকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য কমিটিতেও স্থান দেওয়া হয় তাঁকে। তারপর থেকে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের তরফে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। ডিসেম্বরে মেদিনীপুরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন গ্রেফতারের সময় ছত্রধর মাহাত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ছিলেন। ছত্রধর মাহাতর স্ত্রীকে শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যও করা হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতি ছত্রধর মাহাতকে নিয়ে এনআইএ তৎপর হয়ে ওঠার পিছনে তৃণমূল রাজনৈতিক অভিসন্ধিই দেখছে।