বিজেপি নেতা কৃষ্ণের মৃত্যু ঘিরে রহস্য! রাজনীতি নাকি পারিবারের সংঘাতেই এই পরিণতি?
কাশীপুরে অর্জুনের মৃত্যু নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই ফের এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আজ বুধবার পীড়াখালি ব্রিজের কাছে একটি নালাতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই এলাকা পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না এলাকার মধ্যে। আর ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও পুলিশের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম কৃষ্ণ পাত্র। মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল ওই ব্যক্তি। আজ বুধবার সকালে ক্ষতবিক্ষত উদ্ধার হয় তাঁর। চাঁদিবেনিয়া বাকচা গ্রামের বাসিন্দা সে। কিন্তু দেহ উদ্ধার হয় স্থানীয় পীড়াখালি ব্রিজের কাছে'র একটি নালা থেকে। গোটা রাত ধরে পরিবারের তরফে কৃষ্ণের খোঁজ চালানো হয়। কিন্তু কোনও ভাবেই ট্র্যাক করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানাতে গেলে দেহ উদ্ধারের খবর আসে।
আর এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কৃষ্ণ তাঁদের বিজেপির সক্রিয় কর্মী। তাঁকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। আর এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই জড়িত বলেও অভিযোগ বিজেপির। যদিও তৃণমূলের তরফে এহেন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পালটা তৃণমূলের দাবি, সব মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু দেহ মানেই রাজনীতি করা হবে তা ঠিক নয়। তবে পুলিশ তদন্ত করছে। শিঘ্রই সামনে আসবে আসল তথ্য।
যদিও মৃত কৃষ্ণের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। এক অংশের দাবি, কৃষ্ণ কোনও রাজনীতি করতেন না। যদিও পরিবারের এক অংশের দাবি, বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিল সে। এমনকি গত বিধানসভা নির্বাচনে সামনে থেকে বিজেপির হয়ে প্রচারও করেছিল নাকি কৃষ্ণ। আর এরপর থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
আর এই বিতর্কের মধ্যেই সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। জানা যাচ্ছে, স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহিভুত নাকি সম্পর্ক ছিল কৃষ্ণ। আর সেই সম্পর্কের জন্যেও খুন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ইতিমধ্যে পুলিশে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। একই সঙ্গে ব্যাপক উত্তেজনাও রয়েছে এলাকায়। ঘটনার পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।