
মে'মাসের শুরুতেই খুলবে বাংলার 'মেরিন ড্রাইভ'! একাধিক কর্মসূচিতে অধিকারী গড়ে মুখ্যমন্ত্রী
শিল্পই এখন বাংলার একমাত্র লক্ষ্য! বারবার এমনটাই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে দাঁড়িয়েও এহেন বার্তা দিয়েছেন তিনি। আর সেই লক্ষ্যেই যে সরকার কাজ করছে তাও জানিয়ছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
আর এই অবস্থার মধ্যেই ফের একবার জেলা সফরে তিনি। আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব মেদিনীপুর যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

সমুদ্রবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
কারন এবারের পূর্ব মেদিনীপুর সফরে বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি তাজপুর সমুদ্রবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করতে পারেন তিনি। এছাড়াও নয়াচরে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনও মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাঁর এই সফরেই খুলে দেওয়া হতে পারে দিঘা থেকে তাজপুর পর্যন্ত যাওয়ার মেরিন ড্রাইভ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম স্বপ্নের প্রকল্প এই রাস্তা। তাঁর এই সফরে এই রাস্তার উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই জানা যাচ্ছে।

মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
কয়েক বছর আগে দিঘা থেকে মন্দারমণি পর্যন্ত সমুদ্রের ধার ঘেঁষে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও এই রাস্তা তৈরি হয়নি। সম্প্রতি সাইক্লোনের কারণে এই রাস্তার যতটুকু তৈরি হয় সেটিও কার্যত ভেঙে পড়ে। আর যা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে অধিকারী পরিবারকেও এই বিষয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে এই রাস্তা তৈরির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

কাজ প্রায় শেষ
মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরেই এই মেরিন ড্রাইভ তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করতে তৎপরতা দেখা যায়। রাস্তা তৈরি বেশির ভাগ কাজ শেষ। ইতিমধ্যে মেরিন ড্রাইভ ধরে সহজেই দিঘা থেকে শঙ্করপুর হয়ে তাজপুর সমুদ্রসৈকতে পৌঁছে যাওয়া যাবে। তবে মন্দারমনি পর্যন্ত পৌঁছতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। এই মুহূর্তে রাস্তাটিকে সাজানোর কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই এই রাস্তা পর্যটকদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে। মনে করা হচ্ছে এই রাস্তা খুলে গেলে দুপাশে ব্যবসায় ভালো একটা দিক খুলে যাবে। এতে কর্মসংস্থানও তৈরি হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।

গোয়ার মতো সাজানোর স্বপ্ন দিঘাকে
রাজ্যে পালাবদলের পরেই দিঘাকে গোয়ার মতো সাজানোর কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঢেলে সাজানোর জন্যে একাধিক পদক্ষেপও নেওয়া হয়। টয় ট্রেন, কুমির পার্ক, চিড়িয়াখানা থেকে বিনোদনের একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়। সেগুলির কাজও প্রায় শেষের দিকে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে ঠিক কি কি উদ্বোধন করবেন তা এখনও সরকারি ভাবে জানানো হয়নি কিছুই। তবে তাঁর এই সফরকে ঘিরে জেলা জুড়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।