সুদে আসলে উইথ ইন্টারেস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফিরিয়ে দেব! চরম হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
কাঁথি পুরসভার একের পর এক কেলেঙ্কারি এবং দুর্নীতির ঘটনায় নজরে সৌমেন্দু অধিকারী! আর এই বিষয়ে প্রায় ১০ ঘন্টা ধরে শুভেন্দু অধিকারীকে জেরা করে কাঁথি থানা। আর তা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে সুদে আসলে ফেরত দেওয়ার
কাঁথি পুরসভার একের পর এক কেলেঙ্কারি এবং দুর্নীতির ঘটনায় নজরে সৌমেন্দু অধিকারী! আর এই বিষয়ে প্রায় ১০ ঘন্টা ধরে শুভেন্দু অধিকারীকে জেরা করে কাঁথি থানা। আর তা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে সুদে আসলে ফেরত দেওয়ার হুঁশিয়ারি তাঁর মুখে।
আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। পালটা কড়া ভাষায় বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক দৈন্য থেকেই এহেন মন্তব্য সৌমেন মহাপাত্রের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফিরিয়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি
সৌমেন্দুকে জেরা প্রসঙ্গে কার্যত চরম ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা। ব্রিটিশের পুলিশকে ভয় করিনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ কিছুই করতে পারবে না। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি তাঁর। আজ নন্দীগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে জেরা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তাঁর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না। হাইকোর্টের নির্দেশ দু ঘণ্টার বেশি জেরা করা যাবে না। সেখানে ১০ ঘন্টা আটকে রেখেছে! তবে দুশো ঘন্টা আটকে রাখলেও কিছু করতে পারবে না বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। তবে তাঁর মতে, বেআইনি কাজ করেছে পুলিশ। তবে কোর্টে নাকানি চোবানি খায়বেন বলেও মন্তব্য বিরোধী দলনেতার। এমনকি সুদে আসলে উইথ ইন্টারেস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফিরিয়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি।
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন নন্দীগ্রামের এই বিধায়ক।
অন্যদিকে হলদিয়ায় এসডিপিও রাহুল পান্ডে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এসপি অমরনাথকে খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকবে বলেও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, ''ওরা বেআইনি কাজ করেছে। আমি খুব কঠিন মানুষ। আর তা বলতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ওর ( মুখ্যমন্ত্রী) বাড়ির কেউ স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিল না। আমার বাড়ির বিপিন অধিকারী আট বছর ব্রিটিশের জেলেছিল, ফলে আমরা এগুলোকে ভয় করি না বলে কার্যত রাজ্য প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন নন্দীগ্রামের এই বিধায়ক।
এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই
তবে শুভেন্দুর এহেন হুঁশিয়ারি নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। পালটা কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক দৈন্য থেকেই এহেন মন্তব্য সৌমেন মহাপাত্রের। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারী কি বললেন তাতে কিছুই আসে যায় না। মানুষ ওঁদের সঙ্গে নেই বলেই মন্তব্য বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা। পাশাপাশি পুলিশ তদন্ত করছে। অন্যায় না করলে এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।