খোদ শুভেন্দু গড়েই বামেদের সঙ্গে বিজেপির জোট! সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে বড় ধাক্কা তৃণমূলের
নন্দকুমার ব্লকের বহরমপুর কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচনে বড় ধাক্কা তৃণমূলে! পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের চকসিমুলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বহরমপুর কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটে
নন্দকুমার ব্লকের বহরমপুর কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচনে বড় ধাক্কা তৃণমূলে! পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের চকসিমুলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বহরমপুর কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচন ছিল সম্প্রতি।
আর সেই ভোটে কার্যত খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল। রাম-বামের জোটের মুখে কার্যত ছিটকে গেল শাসকদল তৃণমূল। আর এরপরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও সমিতি
বাম এবং বিজেপির জোট নিয়ে জোরাল আক্রমণ কুণাল ঘোষের। যদিও তৃণমূলকে ঠেকাতে এই জোটের প্রয়োজন ছিল বলে মত স্থানীয় বিজেপি এবং বাম নেতৃত্বের। তবে বাম এবং বিজেপির জোট প্রসঙ্গে দুই দলের নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের হাত থেকে সমবায়কে বাঁচানোর প্রয়োজন ছিল। আর সেই কারণেই বিজেপি ও সিপিএম যৌথভাবে পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও সমিতি গঠন করা হয় বলে জানানো হয়েছে। আর এই সমিতিই একেবারে কোমর বেঁধে ভোটের ময়দানে নামে। বহরমপুর কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডে মোট আসন ছিল ৬৩টি। এর মধ্যে একেবারে এর মধ্যে একেবারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫২ টি আসন জিতেছে পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও সমিতির সদস্যরা।
ভোট পর্ব চলে বাকি ১১ টি আসনে।
গতকাল অর্থাৎ রবিবার ভোট পর্ব চলে বাকি ১১ টি আসনে। কোনও প্রার্থী না থাকার কারণে পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও সমিতি ৫২ টি আসনে জয় লাভ প্রথমেই করে। বাকি ১১ টি আসনে ভোট হয়। রবিবার সকাল থেকে এই ভোট নিয়েই ছিল একেবারে টানটান উত্তেজনার পারদ। জানা যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা মোট ৪৬ টি আসনে মনোনয় জমা দিয়েছিলো। তার মধ্যে ভোটের আগেই ৩৫ টি আসনের প্রার্থী মনোনয় প্রত্যাহার করে নেয় । বাকি ১১ টি আসনের প্রতিদ্বন্দিতা করে তৃণমূল। রবিবার সন্ধ্যে নাগাদ ভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়। দেখা যায় ১১ টি আসনেও পরাজিত হয়েছে তৃণমূলের সদস্যরা। বাম-রাম জোটের মুখে একেবারে দাঁড়াতেই পারিনি শাসক তৃণমূল। সোমবার সকাল থেকেই কার্যত রঙয়ের উৎসবে মেতে উঠেছেন জয়ী প্রার্থীরা।
শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
তবে শুভেন্দু গড়ে এভাবে প্রকাশ্যে বাম এবং বিজেপির জোট নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। কড়া ভাষায় এই জোটকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। তবে জয়ী প্রার্থী কৃষ্ণপ্রসাদ পাত্রের দাবি, বিজেপি এবং সিপিএম যৌথ ভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছে। আর তাতে জয় এসেছে। তবে নেতৃত্বের দাবি, স্থানীয় একটি জোট। তবে কুণাল ঘোষের দাবি, তৃণমূলকে হারাতে গেলে বিজেপি-সিপিএমকে প্রকাশ্যে হাত মেলাতে হচ্ছে। মানুষ তৃণমূলের পাশে আছে। শ্রমিক সমস্যা মেটানো হয়েছে বলে দাবি কুণালের।