হঠাৎ শুভেন্দুর গলা শোনা গেল অভিষেকের মঞ্চে! নাটকীয় কায়দায় ভাষণ কুণালের
হঠাৎ চমকে ওঠার জোগাড়! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীর কণ্ঠ। শুভেন্দুর কণ্ঠে শোনা গেল ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান।
হঠাৎ চমকে ওঠার জোগাড়! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীর কণ্ঠ। শুভেন্দুর কণ্ঠে শোনা গেল 'বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও' স্লোগান। তাঁর কণ্ঠে শোনা গেল বিজেপির অপসংস্কৃতির কথা, জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে চলার কথা। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই জেতার কথা। গোটা মাঠ তখন হৈ-হৈ করছে।
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজ মাঠের জনসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে প্রথমেই তিনটি ভিডিও ক্লিপিংস শোনান। তিনটি ভিডিও ক্লিপিংসই শুভেন্দুর। শুভেন্দুর কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে বিজেপি বিরোধী বক্তৃতা। প্রথম ক্লিপিংসে স্লোগান তুললেন শুভেন্দু। শুভেন্দু বলছেন-বিজেপি হটাও আর জনতা আওয়াজ তুলছে দেশ বাঁচাও।
কুণাল ঘোষ এদিন তাঁর বক্তৃতা শুরু করেছিলেন একটু নাটকীয় কায়দায়। তিনি বলেন, ইচ্ছা ছিল এদিন বক্তৃতা শুরু করব স্লোগান দিয়ে। কিন্তু গত কয়েকদিন মিটিং-মিছিল করে গলাটা একটু বসে রয়েছে। তাই সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান আনোয়ারউদ্দিন আমাকে বলল, তোমাকে আমি একটা ফর্মুলা দিচ্ছি দাদা, তুমি স্লোগানটা দিয়ে সভাটা শুরু করো।
তারপরই ঝুলি তিনি বের করলেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নিয়ে আসা তাঁর মোক্ষম হাতিয়ার। মোবাইল খুলে তিনি শুভেন্দুর একটি ক্লিপিংস চালালেন। সেখানে শুভেন্দুকে বিজেপি বিরোধী স্লোগান তুলতে শোনা গেল। তারপর দ্বিতীয় ক্লিপিংসে শুভেন্দুকে বলতে শোনা গেল- ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা বাংলার সংস্কৃতি জানে না। এরা যদি বাংলার সংস্কৃতি জানত তাহলে বিদ্যাসাগরের সহজ পাঠ বলত না, বর্ণ পরিচয় এরা জানে না। এইসব বাংলা-বিরোধী, বাঙালি বিরোধীদের বিরুদ্ধে বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধে করে জননেত্রীর আদর্শকে পাথেয় করে এগোতে হবে।
তৃতীয় ক্লিপিংসে শুভেন্দুর কণ্ঠে শোনা যায়, আজকের জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে লড়াই, সেই লড়াই আমাদের জিততেই হবে। এই তিনটি ক্লিপিংস শুনিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল সম্পাদক। তারপর তিনি বলেন, শুভেন্দু বলছেন, তৃণমূল নেতারা মঞ্চে উঠে ৮০ শতাংশ সময় আমাকে নিয়েই বলেন। কিন্তু শুভেন্দুকে তো বুঝতে হবে, কেন তাঁকে নিয়ে ৮০ শতাংশ সময় ব্যয় করেন তৃণমূল নেতারা।
Recommended Video
কুণাল বলেন, তোমাকে বড় নেতা বলে কেউ গালাগালি দেয় না। তৃণমূলের যত পদ তুমি, তোমার বাবা, তোমার ভাইয়েরা বণ্টন করে নিয়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ পদ নিয়েও তোমরা বেইমানি করেছো, তাই এখন তো ৮০ শতাংশ গালাগালি খেতেই হবে। এদিন শুভেন্দুর বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে সভা করে তাঁকে গদ্দার, বেইমান বলে তোপ দাগলেন তিনি।