
শুভেন্দু গড়ে কুণালকে বড় দায়িত্ব অভিষেকের! চোর বলেও তোপ বিরোধী দলনেতার
শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে কুণাল ঘোষকে বড় দায়িত্ব! দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দলের সাংসদ হয়েছেন। কিন্ত্য দলের তরফে কলকাতার বাইরে কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এবার সেই কুণাল ঘোষকেই বড় দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হল খোদ শুভেন্দু অধিকারীর জেলাকে। হলদিয়া, তমলুক সহ গোটা জেলাটাই সামলাবেন কুণাল ঘোষ। আজ মঙ্গলবার থেকেই দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে শুভেন্দুকে সামলাতে কুণাল ঘোষই তাহলে তরুপের তাস? জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে।

চোর বলেও তোপ শুভেন্দু অধিকারী
যদিও এরপরেই তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নোংরা একটা লোক বলেও কটাক্ষ তাঁর। অবিলম্বে ব্লিচিং-ফিনাইল দিয়ে পরিষ্কার করার কথা বলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর মতে, একটা লোক চুরির দায়ে সাড়ে তিন বছর জেলে ছিল। চোর বলেও তোপ শুভেন্দু অধিকারী। তবে আমার কোনও গড় নেই বলে দাবি তাঁর। আমি ভারতবাসী। গোটা দেশটাই আমার গড় বলে মন্তব্য নন্দীগ্রামের এই বিধায়কের।

বিশ্বাসঘাতক বলে কড়া আক্রমণ কুণাল
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে বিশ্বাসঘাতক বলে কড়া আক্রমণ কুণাল ঘোষের। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিশ্বাস করে ক্ষমতা দিয়েছে। তাঁর চোখ দিয়ে জেলাটা দেখতে চেয়েছিল। কিন্ত্য তাঁর চলে যাওয়াতে গদ্দারির কারণে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। কিন্ত্য মাথা উঁচু করে নেতৃত্ব লড়াই করে গিয়েছে। নেতৃতব সহযোগিতা করার জন্যে বলেছে। সহযোগীর ভূমিকাতে দেখা যাবে বলে মন্তব্য কুণাল ঘোষের।

মাঠে নেমে পড়েছে শাসকদল
বলে রাখা প্রয়োজন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে শাসকদল। একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত ও হলদিয়া পুরভোটে একেবারে পাখির চোখ শাসকদলের। কোনও ভাবেই যাতে শুভেন্দু কিছু না করতে পারে সেদিকে কুণালের মতো নেতাকেও এবার বিশেষ দায়িত্ব অভিষেকের। শুভেন্দুর জেলায় শাসকদলের সংগঠন মজবুত করতে কাজ করবেন কুণাল। তৃণমূল সূত্রের খবর, এ জন্য হলদিয়ায় একটি বাড়িও ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানেই থেকে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কাজ করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

কার্যত আদায় কাঁচকলা সম্পর্ক
বলে রাখা প্রয়োজন, কুণাল ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে কার্যত আদায় কাঁচকলা সম্পর্ক। সারদা সহ একাধিক ইস্যুতে একে অপরকে আক্রমণ করে থাকেন। আর সেই বিষয়টিকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। এমনটাই খবর।