জেহাদি বলে অপমান করার পরেও কীভাবে শহিদ বেদীতে মালা দেবেন শুভেন্দু! বিস্ফোরক কুণাল
মুসলমানদের জেহাদি বলে অপমান করার পরেও কীভাবে শহিদ বেদীতে মালা দেবেন শুভেন্দু! বিস্ফোরক কুণাল
'অপারেশন সূর্যদয়' এমনই একটি দিনে কেঁপে ঊঠেছিল নন্দীগ্রাম। মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েক জনের। আজ বুধবার শহিদ স্মরণে একদিকে তৃণমূলের তরফে শহিদ সভার আয়োজন করা হয় অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীও পৃথক এক টি সভার আয়োজন করা হয় । ফ লে দুটি সভা ঘিরে সকাল থেকে ই উত্তেজনা ছিল নন্দীগ্রামে। বেলা বাড়তেই উত্তেজনা তুঙ্গে। অধিকারী গড় হিসাবেই পরিচিত নন্দীগ্রাম । আর সেখানে দাঁড়িয়ে অধিকারী পরিবারকে তীব্র আক্রমণ কুণাল ঘোষের।
আজ বুধবার শহিদ মঞ্চ থেকেই অধিকারী পরিবারকে তীব্র আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ। এমনকি সেখান থেকে অধিকারী প্রাইভেট কোম্পানি বলেও তোপ দাগেন তিনি। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের সব দিয়েছে। সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী। এমনকি পুরসভাতেও কাউকে ঢুকতে দিত না ওরা। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের এত দিল। তাকেই কিনা পিছন থেকে ছুরি মারল গদ্দার শুভেন্দু। একেবারে নাম করে তোপ কুণাল ঘোষের। এখানেই শেষ নয়, অকৃতজ্ঞ, বেইমান, নরকের কীট' বলে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুধু তাই নয়, আগামিদিনে শুভেন্দু অধিকারীকে নন্দীগ্রাম থেকে তাড়ানোর হুঁশিয়ারি তাঁর। বলেন, নন্দীগ্রামে উপ-নির্বাচন হবে। পুনর্গণনা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২২ হাজার ভোটে জিতবেন বলে আশা কুণালের। আর সেদিন শুভেন্দুকে নন্দীগ্রাম থেকে ঘাড় ধরে তাড়ানোর হুঁশিয়ারি দেন কুণাল ঘোষ।
নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা, শুভেন্দুকে নিশানায় কেন এ কথা বললেন অধীর
এদিন কুনাল তাঁর বক্তব্যের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীকেই তীব্র আক্রমণ করেন। আর তা করতে গিয়ে কার্যত সাম্প্রদায়িক তাস খেলেন তিনি। বলেন, শহীদ বেদীতে হিন্দু-মুসলমান উভয়েরই। তাহলে কি দুই সম্প্রদায়ের আলাদা শহীদ বেদী বলে লিখে দেওয়া হবে? প্রশ্ন কুনাল ঘোষের। কুণাল এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, মুসলমান শহীদদের রক্ত আছে হিন্দু শহীদদের রক্ত আছে শুভেন্দু অধিকারী হিম্মত থাকলে এই শহীদ বেদীতে মাল্যদান করুক। যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী মুসলমানদের জেহাদী বলছেন তাদের অপমান করছেন তাই হিম্মত থাকলে মাল্য দান করুক অন্যথায় জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়ে নাকক্ষর দিক।
অপারেশন সূর্যদয় উপলক্ষে আজ স্মরণসভার আয়োজন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। কিন্তু তৃণমূল ও বিজেপির তরফে আলাদাভাবে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে। সকালে গোকুলনগরের কর পল্লিতে তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ, তাপস রায়, দোলা সেন-সহ নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর দুপুরে একই জায়গায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।
Recommended Video