মেধা তালিকায় ২২জন! এবারের উচ্চমাধ্যমিকে উজ্জ্বলতম নাম জলচক নাটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তন
মেধা তালিকায় ২২জন! এবারের উচ্চমাধ্যমিকে উজ্জ্বলতম নাম জলচক নটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তন
টানা দুই বছরের করোনার ফাঁড়া কাটিয়ে ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে ফের সশরীরে স্কুলে উপস্থিত হয়েছিল পরীক্ষার্থীরা। এবং বহু প্রতীক্ষিত ফলাফল অবশেষে শুক্রবার ১০জুন প্রকাশিত হল। এই বছর রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছিল ২৭ এপ্রিল। এবং পরীক্ষা শেষের মাত্র ৪৪ দিনের মাথায় রেকর্ড তৈরি করে প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল।
ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে ১-১০ মেধা তালিকা। যেখানে মাধ্যমিকের পর আরও একবার উচ্চমাধ্যমিকেও জয় জয়কার জেলাগুলির। জেলাভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এরই সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কালিম্পং সহ ৭ জেলায় পাশের হার ৯০ শতাংশের বেশি। কিন্তু এরই মধ্যে যে স্কুলের নাম সোনার মত জ্বলজ্বল করছে তা হল পশ্চিম মেদিনীপুর জলচক নাটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তন। একজন দুজন নয়, এই বিদ্যালয় থেকে এই বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় এক থেকে দশের মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে ২২ জন পরীক্ষার্থী। যাদের মধ্যে সামিল রয়েছে সেরা পাঁচও।
এই বছর মোট ৪৯৭ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় এককভাবে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে জলচক নাটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তনের কৃতি ছাত্র সায়নদীপ সামন্ত। ৪৯৬ নম্বর পেয়ে যৌথ ভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে পরিচিতা পারি। ৪৯৫ নম্বর পেয়ে রাজ্য মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে জলচক নাটেশ্বরী বিদ্যায়তনের সৌম্যদীপ মণ্ডল, প্রিতম মিদ্যা ও কিংশুক রায়। অপরদিকে ৪৯৩ নম্বর পেয়ে যৌথভাবে ষষ্ঠ হয়েছে শ্রীকৃষ্ণ সামন্ত। ৪৯২ নম্বর পেয়ে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক মেধা তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে পিঙ্কি খাতুন, শান্তনু পাল এবং প্রান্তিক মণ্ডল।
অষ্টম স্থানের তালিকায় নাম রয়েছে এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়া সৌম্যদীপ সামন্ত, শর্মিষ্ঠা ঘোড়াই, শেখ রাহুল হোসেন, অঙ্কন সাহু, সাহেব দাস অধিকারী, সৈকত রায়ের। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। ৪৯০ নম্বর পেয়ে নম্বর স্থানে রয়েছে অমিয় শাসমল, শতস্মিত মহাপাত্র। ৪৮৯ নম্বর পেয়ে দশম স্থানে রয়েছে এই স্কুলের পড়ুয়া আকাশ ঘোষ, শৈলেশ জানা, পবিত্র বেরা, এবং শুভজিৎ শাসমল।
মেধা তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে জলচক নটেশ্বরী বিদ্যায়তন শিক্ষক শিক্ষিকা এবং সেইসঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার অন্তর্গত জলচক নাটেশ্বরী বিদ্যায়তন এতদিন পর্যন্ত কারও কাছে নাম না জানা একটি সাধারণ স্কুল হয়ে থাকলেও এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যের আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কিছুটা পিছিয়ে পড়া এলাকারই এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নিজেদের কৃতিত্ব দিয়ে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিকের শ্রেষ্ঠ আসন ছিনিয়ে নেওয়ার পর স্বভাবতই খুশির জোয়ার নেমেছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে।
HS Exam 2023: ১৪ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম ভাষার পরীক্ষা! এরপর কবে কী পরীক্ষা
তবে এইরকম ঐতিহাসিক সাফল্যের পিছনের আসল রহস্য জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষকরা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের স্কুলের নির্দিষ্ট সময়ের পরেও আলাদা ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। মক টেস্ট এবং সঠিকভাবে গাইড করার চেষ্টা করা হত যাতে পড়ুয়ারা সময়ের মধ্যে সব প্রশ্নের যথা সম্ভব ঠিক উত্তর দিতে পারে। আর এরই ফল পরীক্ষার্থীরা পেল ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরেই।