পাঁচ বছর পরে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী! সভার আগে মমতার নামে গোব্যাক পোস্টারে উত্তেজনা
পাঁচ বছর পরে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী! সভার আগে মমতার নামে ন গো-ব্যাক পোস্টারে উত্তেজনা
নন্দীগ্রামে সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)। শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথমবার। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামের পারদ চড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকেই সেখানকার একাধিক জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে গোব্যাক পোস্টার দেখা যায়। তারপরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম সভা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শেষবারের জন্য গিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীই নন্দীগ্রামে শেষ কথা বলতেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তৃণমূলের তরপে জানানো হয়েছিল ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জেলা কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ার জেরে সভা পিছিয়ে ১৮ জানুয়ারি করা হয়। যদিও ৭ তারিখের জবাবি সভা শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা মতো করেছিলেন ৮ জানুয়ারি। আর ১৮ জানুয়ারির জবাবি সভা শুভেন্দু অধিকারী করতে চলেছেন ১৯ জানুয়ারি।
মানুষ ভরসা রেখেছিল মমতার ওপরেই
কাঁথির সভা থেকে সৌগত রায় এবং ফিরহাদ হাকিমরা নিশানা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিশানা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সব থেকে বড় সুবিধাবাদী বলে বর্ণনা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট বেধেই নির্বাচনী লড়াইয়ে সমিল হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে দাঁড়িয়ে জবাব দেওয়ার পালা। ক্ষমতায় আসার আগে শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি নন্দীগ্রামের মানুষ ভরসা রেখেছিলেন তৃণমূল নেত্রীর ওপরে। কিন্তু এখন পরিস্থিতির বদল হয়েছে। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া পর কাঁথির পুর প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে মমতার সভায় প্রথমবারের জন্য থাকছেন না অধিকারীর পরিবারের কোনও সদস্য। সেখানে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ তুলেছেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী।
ভোরেই এলাকায় গোব্যাক পোস্টার
এদিন ভোর হতেই নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গো ব্যাক পোস্টার চোখে পড়েছে। প্রথম তা চোখে পড়ে নন্দীগ্রামের আমদাবাদ গ্রামে। আর তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায়। দুপুরে তেখালির মাঠে সভা করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভাকে ঘিরে কড়া পুলিশি বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে কেন, কেন তিনি সড়ক পথে এলাকায় যাচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের
তৃণমূলের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে এলাকায় যাঁরা আগে দাদার অনুগামীর পোস্টার দিত, এখন তাঁরাই এইসব পোস্টার দিচ্ছে। তবে এর জেরে সভায় লোক সমাগমের কোনও ভাটা পড়বে না বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সরকারের উন্নয়নের নিরিখেই প্রচুর জনসমাগম হবে বলে দাবি করা হয়েছে।
শোভনের পরিশ্রমেই অভিষেক সাংসদ! কোন পথে ঘাসফুল গড় হবে গেরুয়া গড়, রোড শো-এর আগে বললেন বৈশাখী